খুলনা অফিসঃ
খুলনা নগরীর আলোচিত ব্যবসায়ী মো. সাকের হোসেন হত্যা মামলার ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাল্টানোর চেষ্টা এবং পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ায় ফেঁসে গেছেন খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুরজিত মন্ডল (২৫)। ইতোমধ্যেই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই তাকে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।
এদিকে, ছাত্রলীগ নেতা সুরজিত মন্ডলকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (৩ অক্টোবর) খুলনা জেলা ছাত্রলীদের সভাপতি মো. পারভেজ হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। সুরজিত জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা এলাকার গোলক মণ্ডলের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর আহসান আহমেদ রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. হোসেন সাকের হত্যা মামলার ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পরিবর্তনের জন্য খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুরজিত মণ্ডলেরসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন করেন।
সেই অভিযোগে পিবিআই গত ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেতফার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালতে সুরজিত মন্ডল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে সুরজিত মণ্ডলের সঙ্গে এক প্রবাসীর স্ত্রী’র আপত্তিকর ছবি সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বেশ সমালোচনা তৈরি হয়।
সাকের হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই খুলনা’র পরিদর্শক একেএম মাহফুজুল হক বলেন, ব্যবসায়ী মো. হোসেন সাকের হত্যাকান্ডের পর তার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসামিদের পক্ষে নিতে মিডিয়া হিসেবে কাজ করেছে সুরজিৎ । এ বিষয়ে তথ্য প্রমাণ হাতে পাওয়ার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করেছেন।
এদিকে দল থেকে বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান মুন্না বলেন, নানা রকমের সাংগঠনিক বহিভূর্ত কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।