হোম অর্থ ও বাণিজ্য ভোমরা বন্দরে ভারতীয় পিঁয়াজ আমদানিকে কেন্দ্র করে চলছে লুকোচুরি

ভোমরা বন্দরে ভারতীয় পিঁয়াজ আমদানিকে কেন্দ্র করে চলছে লুকোচুরি

কর্তৃক
০ মন্তব্য 681 ভিউজ

সংকল্প ডেস্ক:

ভারতীয় পিঁয়াজ আমদানি কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে লুকোচুরি খেলা। আজ সকাল থেকে ভারত থেকে কোনো পিঁয়াজ রপ্তানি হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।কিন্তু রবিবার দিনের শেষ সময় ১৪ ট্রাক পিঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করার অনুমতি দেয় ভারতে ঘুচা-ডাঙ্গা কাস্টমস শুল্ক ষ্টেশন। ভারতীয় পিঁয়াজ আমদানি হবে না এমনি খবর শুনে বিভিন্ন এলাকার পাইকার ব্যবসায়ীরা ভোমরা বন্দর থেকে ফিরে গেছে।দিনভর ভোমরা স্থল বন্দর ঘুরে পিঁয়াজ আমদানির এই চিত্র ফুটে উঠেছে।

কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়ায় ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদশে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।ফলে চরম ক্ষতির সম্মুখে হয় আমদানিকারকরা।বাংলাদেশের পাইকারি বাজারে পিঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়।বাংলাদেশের পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ভারত সরকার আবারও বাংলাদেশে পিঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়।যার ফুলস্রুতিতে শনিবার ভোমরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়ে ভারতের পিঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।এ দিন ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে ৩৬ ট্রাক পিঁয়াজ আমদানি হয়।কিন্তু দীর্ঘদিন সীমান্তে আটকে থাকার কারণে অর্ধেক পরিমাণ পিঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে বলে আমদানি কারকরা জানিয়েছে।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচারিত হয় ভোমরা, হিলি ও সোনা-মসজিদ স্থল বন্দর দিয়ে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা ২৫ হাজার মেট্রিকটন পিঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করবে।কিন্তু আজ সকালে ভোমরা স্থল বন্দর ঘুরে দেখা যায় বন্দরের সেটে কোনো আমদানি জাতক পিঁয়াজের ট্রাক নেই।

স্থানীয় সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আমির হামজা জানালেন।এখনো কোনো পিঁয়াজ আমদানি হয় নি।আজ পিঁয়াজ আমদানির কোনো সম্ভাব্য দেখা যাচ্ছে না।
মুঠো ফোনে কথা হয় ভারতের ঘোচা-ডাঙ্গার সি এন্ড এফ এজেন্টের প্রতিনিধি তাপস সরকারের সাথে তিনি জানালেন, আজ পিঁয়াজ রপ্তানির কোনো নিদর্শনা আসেনি।

ফলে কয়েকজন রপ্তানি কারক সীমান্ত থেকে তাদের পিঁয়াজ বাহী ট্রাক ফিরিয়ে এনেছে। এখনো ১৮৫ ট্রাক পিঁয়াজ ঘোচা-ডাঙ্গার সীমান্তে আটকে পরে রয়েছে।যার অধিকাংশ পণ্য নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

ভোমরার আরত গুলোতে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।দিনের শেষ ভাগে সি এন্ড এফ এজেন্ট আমির হামজা জানালেন, কিছুক্ষণ আগে ভারতের ঘোচা-ডাঙ্গার কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ১৪ ট্রাক পিঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। বিকাল ৫ টা ৫০ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় ৫ ট্রাক পিঁয়াজ আমদানি হয়েছে।এক একসময় এক একরকম সিধান্তের কারণে আভ্যন্তরীণ বাজারে পিঁয়াজের মূল্য অস্থিতিশীল সৃষ্টি হচ্ছে।এই সুযোগে অনেক আড়তদাররা অতিরিক্ত মুনাফা পায়তারা করছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন