হোম অন্যান্যসারাদেশ সরকারি টিউবওয়েল নিজের দখলে নিয়েছে ঝিকরগাছার রাজবাড়ীয়া গ্রামের মিন্টু

সরকারি টিউবওয়েল নিজের দখলে নিয়েছে ঝিকরগাছার রাজবাড়ীয়া গ্রামের মিন্টু

কর্তৃক
০ মন্তব্য 77 ভিউজ

ঝিকরগাছা, (যশোর) প্রতিনিধি :

এলাকাবাসীর চক্ষু ফাঁকি দিয়ে ঝিকরগাছা উপজেলার ১০ নং শংকরপুর ইউনিয়নের রাজবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ মিন্টু,(৩৫) পিতাঃ মোঃ হবিবর রহমান। আর্সেনিক মুক্ত গভীর নলকূপটি নিজের বসতভিটার ভিতরে বারান্দার সামনে পুতেছে। মিন্টুরবাড়ীতে সরেজমিনে গেলে কথা হয় তার বাবা হবিবর রহমানের সাথে, হবিবর রহমান বলেন এই গভীর নলকূপটি আমরা ৭০,০০০(সত্তর হাজার) টাকা দিয়ে নিজ অর্থায়নে বাড়ীর মধ্যে পুতেছি। তিনি ও তাহার সহধর্মিণী বলেন এই নলকূপের পানি দিয়ে আমরা গরু গোসল, বাতরুম,রান্না,খাওয়া ও আনুষঙ্গিক কাজের ব্যবহার করব। এক পর্যায়ে আমরা তাকে জিঙ্গেস করি এই মহল্লায় প্রায় ২০/২৫ ঘর লোকজনের বসবাস, কেন আপনি সরকারি টিউবওয়েল পানি একা ভোগ করবেন। উত্তরে তারা বলেন এই কল আমরা একক ভাবে কিনে নিয়েছি তাই আমরা যেখানে ইচ্ছা সেখানে পুতেছি।

মিন্টু আমাদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সে গা ঢাকা দেয়। পরবর্তীতে মুঠোফোনে মিন্টুর সাথে যোগাযোগ হলে সে বলে আমি রীতিমত আমার ওয়ার্ডের মেম্বার মাছুয়ার ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নিছার উদ্দীনের কাছে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কল নিয়েছি এবং তাদের কথামত কলটি আমার বাড়ীর ভিতরে স্থাপন করেছি।
মহল্লাবাসী বলেন করোনার ভয়ে আমরা দুরে খাবার পানি আনতে যেতে পারিনা তাই আমরা মেম্বর চেয়ারম্যানদের বলেছিলাম আমাদের পাড়ায় একটা সরকারি সহযোগীতায় আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল বসিয়ে দেন যাহাতে আমরা সহজভাবে আর্সেনিকমুক্ত পানি পানকরা ও রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারি। কিন্তুু কষ্টের ব্যপার হলো, যে কলটির জন্য এলাকাবাসী রঙিন আাসায় বুক বেঁধেছিলেন সেই আাশার আলোর শেষ সম্বলটুকু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অযত্ন আর অবহেলার কারনে তাও আজ দখলদারদের হাতে চলে গেছে।

রাজবাড়ীয়া ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ মাছুয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন মিন্টুর নিকট থেকে টিউবওয়েল বাবদ ৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত কোন টাকা নেওয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন এই টিউবওয়েলটির পানি যেন সকলে মিলেমিশে ব্যবহার করতে পারে সে জন্য কলটি রাস্তার ধারে স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। ১০ নং শংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিছার উদ্দিন বলেন মাছুয়ার মেম্বর যেটা বলেছেন ওটাই সত্য ওটাই সঠিক। মিন্টুর নিকট থেকে আমরা অতিরিক্ত কোন টাকা পয়সা নেয়নি। এবং গভীর নলকূপটি সর্বসাধারণের সুবিধার জন্য রাস্তার পাশে বসানোর কথা বলা হয়েছে। সুতরাং মিন্টু যে কাজটি করেছে তা নিঃসন্দেহ এটা অন্যায়। রাজবাড়ীয়া গ্রামের মহল্লাবাসি এরকম জঘন্যতম অপরাধ কর্মের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং জোরদাবি জানাচ্ছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দখলকৃত আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপটি দ্রূত অপসারণ করে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হোক এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন