মিলন হোসেন বেনাপোল :
পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান ভাংচুর, লুটপাট,ও দুই যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিগোগ উঠেছে। আহত দুই যুবকের মধ্যে মোঃ জনি মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে নাভারন ও পরে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
শনিবার সকল ৯ টার সময় ঘটনাটি ঘটেছে বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রামে।
আহতরা হলো সাদিপুর গ্রামের ওসমান খোকার ছেলে মিলন হোসেন (৩৫) একই গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে জনি মিয়া (৩৪)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী খোদেজা বেগম ও হাবিবার রহমান বলেন, মিলন তার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে মিলনের স্যালক আবুবক্কার এসে মিলনকে বাটখারা দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকে। এসময় জনি এসে ঠেকাতে গেলে তাকে আবু বক্কার, ফারজেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা দা, দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে জনির মাথায় দা ঢুকে রক্তপাত হয়। এরপর মাথায় দা আটকে গেলে কয়েকজন ধরে টেনে বের করে। এরপর চিকিৎসার জন্য প্রথমে নাভারণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়। সে বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মিলন এর পিতা ওসামন খোকা বলেন তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর পারিবারিক কলহের জের ধরে আবুক্কার ও তার আত্মীয় সজন দিয়ে মারধর করে। এবং দায়ের কোপে জনিকে গুরুতর রক্তাক্ত আহত করে। এবং মিলনকে বাটখারা দিয়ে পিটিয়ে ও গুরুতর আহত করে। তিনি বলেন তার দোকানে রাখা ২ লাখ টাকা ও বেচা কেনার অর্থ ওই দুর্বৃত্তরা লুট করে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই রোকন বলেন এ ব্যাপারে থানায় দাউদ হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। আসামিরা হলো ওই গ্রামের মোঃ আব্দুল মিয়ার ছেলে আলী আহম্দে নেদা (৫৬) তার ভাই আজিবার রহমান ভুট্রো, ভুট্রোর ছেলে আবু বক্কার এবং খোদাবক্সের ছেলে ফারজেল হোসেন। এর মধ্যে নেদা ও ভুট্রোকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।এ ব্যাপারে আহত জনির পিতা বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ২১, তারিখ, ১২/০৯/২০।