হোম জাতীয় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের দায়িত্ব নিলেন সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপির নেতৃতাধীন কার্যনির্বাহী পরিষদ

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের দায়িত্ব নিলেন সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপির নেতৃতাধীন কার্যনির্বাহী পরিষদ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 140 ভিউজ

একমাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্নের নির্দেশনা আদালতের

সংকল্প ডেস্কঃ  

অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান হলো। আদালতের নির্দেশে সৌহার্দ্য পূর্ণ পরিবেশে প্রেসক্লাবের দায়িত্বভার গ্রহন করল সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপির নেতৃতাধীন কার্যনির্বাহী পরিষদ। এর আগে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের অফিস কক্ষে প্রেসক্লাবের কয়েক জন সিনিয়র সদস্য আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আলোচনায় মিলিত হন। উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে একমত হন। এর আগে পুলিশের বিশাল বহর সকাল থেকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অবস্থান নেয়। বার্ষিক সাধারন সভায় অনুমদিত ৭৫ জন সদস্যের বাইরে কাউকে পুলিশ প্রেসক্লাবে ঢুকতে দেয়নি।

এর আগের দিন সাতক্ষীরা সহকারী জজ আদালত জিএম নূর ইসলাম ও মোজাফফার রহমানের নেতৃতাধীন প্রেসক্লাবের কমিটিকে অবৈধ ঘোষনা করেন। এর প্রেক্ষিতে আজ দুপুরে প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সভা কক্ষে মোজাফফার রহমান আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

প্রসঙ্গত,গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারন সভায় ৭৫ জন সাধারন সদস্যের ভোটার তালিকা অনুমোদন করা হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। যদিও বার্ষিক সাধারন সভায় ভোটার তালিকা থেকে ইতোপূর্বে অগঠন তান্রিক পন্থায় যাদের সদস্য প্রদান করা হয়েছে তাদের নাম বাদ ও যোগ্যতা সম্পন্ন সাংবাদিকদের সাধারন সদস্য দেয়ার জন্য সাধারন সদস্যদের একটি অংশ জোর দাবি জানায়। কিন্তু বার্ষিক সাধারন সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সেই দাবি নাকোচ হয়ে যায়।

ওই সভায় ৭৫ জন সাধারন সদস্যের ভোটার তালিকা অনুমোদন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। প্রেসক্লাবের নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরু হলে ৭৫ জন সদস্যের মধ্যে ২০ থেকে ২২ জন সাধারন সদস্য প্রেসক্লাবে বসে জিএম নূর ইসলাম কে সভাপতি ও মোজাফফর রহমান কে সাধারন সম্পাদক করে ১৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষনা করে। এর ফলে প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ,সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপি বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাদি পক্ষ আদালতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জিএম নূর ইসলাম ও মোজাফফার রহমানের নেতৃতাধীন প্রেসক্লাবের কমিটিকে অবৈধ ঘোষনা করেন। আজ দুপুরে প্রেসক্লাবের মোতালেব মিলনায়তনে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহউদ্দিন ও সুদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান উভয় পক্ষের সাংবাদিকদের নিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হন। এ সময় মোজাফফার রহমান সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে দৃশ্যমান দায়িত্ব হস্থান্তর করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আয় ব্যায়ের হিসাব বুঝে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন