হোম বিনোদন মামলার বিষয়ে জবাব দাখিলে সময় পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

মামলার বিষয়ে জবাব দাখিলে সময় পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 66 ভিউজ

বিনোদন ডেস্ক:
অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ভাই আলিশান চৌধুরীর হুমকি-ধামকির মামলার বিষয়ে জবাব দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১২ জানুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার ৩ নম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকের বদলির কারণে জবাব দাখিল-সংক্রান্ত শুনানি হয়নি। এ জন্য পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করা হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী তুহিন হাওলাদার জানান, সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক সম্প্রতি অন্যত্র বদলি হওয়ায় এ মামলার নির্ধারিত তারিখে শুনানি সম্ভব হয়নি। বিচারক অনুপস্থিত থাকায় মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকে এবং আদালতের প্রচলিত বিধি ও নিয়ম অনুযায়ী মামলাটির শুনানির জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তী সময় আদালতে নতুন বিচারক যোগদান করার পর নথিপত্র আবার উপস্থাপন করে এ মামলার শুনানি নেওয়া হবে।

এ কারণে আদালতের আদেশক্রমে মামলাটি পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয় এবং নির্ধারিত তারিখে সব পক্ষকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। নতুন নির্ধারিত তারিখে বিচারক উপস্থিত থাকলে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ভাই আলিসান চৌধুরী। ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা হক তানিয়ার আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদীর (আমিরুল ইসলাম) সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় মেহজাবীনের। সেই সূত্রে মেহজাবীনের নতুন পারিবারিক ব্যবসার অংশীদার হিসেবে যুক্ত হতে ২৭ লাখ টাকা দেন তিনি। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেননি। ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু না করায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজ দেব, কাল দেব বলে সময় পার করে আসছেন।

বাদীর অভিযোগ, এ বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি পাওনা টাকা চাইতে গেলে মেহজাবীন ও আলিসান ১৬ মার্চ বাদীকে হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে যেতে বলেন। সেখানে গেলে মেহজাবীন, তার ভাইসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন, তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। তখন বাদী বিষয়টি সমাধানের জন্য ভাটারা থানায় গেলে পুলিশ তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। তখন তিনি আদালতে মামলা করেন।

এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ও ১১৭ (৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন