হোম জাতীয় অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে ঝিকরগাছার শংকরপুরের উলাকোল সরকারি হাসপাতাল

অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে ঝিকরগাছার শংকরপুরের উলাকোল সরকারি হাসপাতাল

কর্তৃক
০ মন্তব্য 80 ভিউজ

মোঃ তাজমুল হোসেন,ঝিকরগাছা:

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের উলাকোল গ্রামে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালটি অবস্থিত। সরকারি ডাক্তার, কর্মচারী, ষ্টাফদের অযত্ন আর অবহেলায় দীর্ঘদিন যাবত পড়ে আছে হাসপাতালটি।
সমগ্র বাংলাদেশে যখন করোনাভাইরাস এর ভয়ানক থাবা বিরাজ করছে, তখন আতঙ্কে দিন কাটছে উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের ৩০/৩৫ (হাজার) মানুষের । যেটি দেখভাল করার মত কেহই নেই।
যেহেতু আগষ্টের ঠান্ডা গরমের কারনে অধিকাংশ লোকজন ভুগছে সর্দি, কাশি, জ্বর সহ নানা রকম শ্বাসকষ্টজনিত রোগে। আর এই সমস্ত রোগে আক্রান্ত মানুষ গুলো বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে মানবতার জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় এই করোনা ভাইরাসের কারনে তাহারা এলাকা থেকে শহরে এসেও চিকিৎসা নিতে পারছেনা। ফলে ইউনিয়নে হাসপাতাল থাকা সত্তেও তাদের জীবন কাটাতে হচ্ছে অত্যান্ত দুর্বিসহর মধ্যো দিয়ে।
গত বছর কয়েক দফা এই
হাসপাতালের ব্যাপারে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়, অনলাইন, ইউটিউব চ্যানেলে বার-বার সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশ করেও কোন প্রকার লাভ হয়নি। ওই যে, বচনে বলে “চোরে শোনেনা ধর্মের কাহিনী” গ্রামের খেটে খাওয়া হত দরিদ্র অসহায় মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ঠিকানা হয় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি। কিন্তু সেখানে গেলে দেখা যায় যে, হাসপাতালটির ভিন্ন চিত্র। নেই কোন চিকিৎসকের দেখা, নেই কোন চিকিৎসার সরঞ্জামাদি, বিন্দু পরিমাণ মেলেও না কোন ধরণের ওষুধপাতি। অথচ হাসপাতালে হাজিরা খাতায় দেখা যায় ডাক্তার ও কর্মচারীদের নিয়মিত হাজিরা উপস্থিতি। অসহায় দিনমজুর অবহেলিত হাজারো মানুষের এক মাত্র ভরসার জায়গা। কিন্তু ভরসা তো দূরের কথা, বর্তমানে এটার কি বেহাল দশা ভিতরে গিলেই মনে হয় এটা শংকরপুর ইউনিয়নের সব চেয়ে বড় ডাস্টবিন, জানালা গ্লাস গুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, পানির কল টি অকেজো, খসে পড়ছে ভবনের দেওয়াল, নষ্ট হচ্ছে দামি আসবাবপত্র এমনকি সর্ব সময় ঔষাধ সংকটে ভুগতে হয় এলাকাবাসীকে।
এমতঅবস্থায় এলাকার গরীব দুঃখী ও অসহায় মানুষের ভোগান্তির কোন শেষ হচ্ছে না। তাই শংকরপুর ইউনিয়নবাসী এ রকম চিকিৎসা অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চাই। চাই বেঁচে থাকার মত একটু চিকিৎসা চাই হাসপাতালটি ভাল ভাবে পরিচালনা করার নুতুন ব্যবস্থা। সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসনের জোর দাবি জানাচ্ছি হাসপাতালটি পুনরুদ্ধার করে চিকিৎসা সেবার মান বাড়িয়ে এলাকার অসহায়, খেটেখুটে খাওয়া-দুস্থ গরিবের চিকিৎসা সেবার সুযোগ সৃষ্টি করা।

উল্লেখ থাকে যে, আম্পান ঝড়ের তান্ডবে একটি বড় গাছ উপড়ে পড়াতে হাসপাতালটির মেইনগেট বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে হাসপাতালের ভীতরে আসা যাওয়ার পথটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন