হোম রাজনীতি ব্রিফিংয়ে কাঁদলেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. জাহিদ

ব্রিফিংয়ে কাঁদলেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. জাহিদ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 49 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ের একপর্যায়ে কান্না করতে দেখা যায় তাকে।

এসময় গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, ‘তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত যৌথ মেডিকেল টিমের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের গুজব ও বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দলের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসার তদারকি করছেন আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সব বিষয়ে তিনি দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে আমাদের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন। দলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সারা দেশের মানুষের ন্যায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানও যথাযথ সহযোগিতা করছেন। হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলো। তার প্রতি ভালোবাসা ও দোয়ার কারণেই হয়ত এই যাত্রায় সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমরা আশা করি। সেজন্য সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন ও কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো বা কান না দেওয়ার জন্য বিনীতভাবে পরিবারসহ দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি’।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আপনারা ধৈর্য ধরুন। দীর্ঘ ছয় বছর ধরে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমরা এই যাত্রাও আপনাদের ভালোবাসা, সহযোগিতা এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ মেহেরবানিতে আবারও খালেদা জিয়াকে সুস্থ দেখতে পাব ইনশাআল্লাহ। তবে দেশের মানুষের অক্লান্ত ভালোবাসা প্রমাণিত। এজন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।

আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ধৈর্য ধারণের জন্য অনুরোধ করেছেন। কাজেই আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশ তথা সব ধর্মের মানুষের প্রতি দোয়ার আহ্বান জানাচ্ছি’।

এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বুকে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে ভর্তি করে নেওয়া হয়। সোমবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবিনতি হলে তাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে ‘স্পেশাল কেয়ারে’।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, তার জন্য শিগগিরই নতুন বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু হবে বলে তারা আশা করছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে এক দিনের মধ্যেই ট্রাভেল পাস দেবে সরকার।

তবে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, উপদেষ্টা এককালীন ট্রাভেল পাসের কথা বললেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়েই ফিরতে চান।

জিয়া পরিবার ও বিএনপির তরফে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারেক রহমান মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি।

তিনি বলেন, এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইলো।

২০০৮ সালে কারামুক্তির পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তারেক রহমান লন্ডনে যান। গত ১৭ বছর ধরে সেখানেই নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে আসছেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন