হোম আন্তর্জাতিক ৬ ডিসেম্বর দিল্লির ৬ স্থানে সিরিজ হামলার পরিকল্পনা ছিল

৬ ডিসেম্বর দিল্লির ৬ স্থানে সিরিজ হামলার পরিকল্পনা ছিল

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 45 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দিল্লির রেড ফোর্টে বিস্ফোরণের তদন্তে জড়িত সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই বোমা হামলা বা বিস্ফোরক বহনের জন্য মোট ৩২টি গাড়ি ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে মারুতি সুজুকি ব্রেজা, মারুতি সুইফট ডিজায়ার ও ফোর্ড ইকোস্পোর্টের মতো গাড়ি ছিল।

তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি জানিয়েছে, এই গাড়িগুলোকে ব্যবহার করে সিরিজ হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যার মূল লক্ষ্য ছিল ৬ ডিসেম্বর দিল্লির ছয়টি স্থান—যে তারিখে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিস্ফোরিত হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি ছিল এই হামলার প্রথম গাড়ি। তদন্তে জানা গেছে, বাকি গাড়িগুলোও একইভাবে হামলায় ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল।

এ পর্যন্ত চারটি গাড়ি শনাক্ত করা হয়েছে। ব্রেজা গাড়িটি পাওয়া গেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ক্যাম্পাসে, যা এখন এই চক্রের মূল ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ইকোস্পোর্ট গাড়িটি (ডিএল১০ সিকে ০৪৫৮) বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে ফরিদাবাদে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং গাড়ির ভেতর থেকে এক তরুণকে ঘুমন্ত অবস্থায় আটক করা হয়েছে।

ডিজায়ার গাড়িটি সোমবার বাজেয়াপ্ত করা হয়, যার ভেতর থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। রেড ফোর্টে বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হন। বিস্ফোরিত আই২০ গাড়িটিতে ছিল উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফুয়েল অয়েল।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, উমর মোহাম্মদ নামে একজনের গাড়ি ভুলে আগেভাগে বিস্ফোরণ ঘটে যায়। ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত করা হয়েছে, উমর মোহাম্মদই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে। সোমবার সকালে গাড়িটি বদরপুর সীমান্ত দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করে এবং কয়েক ঘণ্টা শহরে ঘুরে বেড়ায়।

মূল পরিকল্পনা ছিল লালকেল্লার পার্কিং এলাকাতেই বিস্ফোরণ ঘটানোর। তবে যেহেতু সোমবার ফোর্টটি বন্ধ থাকে, উমর পরিকল্পনা বদলে কেল্লার প্রধান ফটকের সামনের ব্যস্ত ট্রাফিক সিগন্যালে বিস্ফোরণ ঘটায়। তার পাশেই একটি মেট্রো স্টেশনও ছিল।

তদন্তে জানা গেছে, উমর মোহাম্মদ উরফে উমর উন-নবী হয়তো আতঙ্কে পড়েছিল, কারণ তার তিন সহযোগী— আদিল আহমেদ রাঠার, মুজাম্মিল শাকিল ও শাহিনা সাঈদকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়। এদের কাছ থেকে ৩ হাজার কেজির বেশি বিস্ফোরক ও কয়েকটি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার করা হয়, যা মজুত ছিল ফরিদাবাদের আল-ফালাহ হাসপাতাল এবং জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগের গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন