এম,এম সাহেব আলী, আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনির প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের ২০০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। সোমবার সকালে তিনি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন, এলাকার মানুষের সাথে মতবিনিময় এবং ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ঘুর্ণিঝড় আম্ফান এবং গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রচুর বৃষ্টিপাতে প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের একাধিক স্থানে খোলপেটুয়া নদীর পানি রক্ষা রিং বাঁধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়।
৩ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামের মানুষের আশ্রয় স্থল পানিতে ডুবে প্লাবিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের বিভিন্ন ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পাশে উপস্থিত হয়ে তাদের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। আশ্রয় কেন্দ্র ও বিভিন্ন সড়কে, বাঁধের উপরে আশ্রয় নেয়া ২০০০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসক উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এলাকার মানুষ নিরুপায় হয়ে পড়েছে। সরকার অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল বাঁধে কাজ করা সম্ভব নয়, এজন্য আপাতত অস্থায়ী ভিত্তিতে এসব প্লাবিত এলাকায় বানভাসী মানুষ যাতে ঘরে ফিরতে পারে সে জন্য রিং বাঁধ আটকাতে হবে। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সর্বাত্মক ভূমিকা নিতে হবে। মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা, স্যানিটেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম করতে হবে। বানভাসী মানুষের মাঝে যথাযথ ভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। কেউ নয়ছয় করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক সড়ক, নৌ ও পায়ে হেটে বিভিন্ন প্লাবিত এলাকায় বাসভাসী মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণের চাউল বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান, ট্যাগ অফিসার বিশ^জিৎ কুমার ঘোষ, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।