বিনোদন ডেস্ক:
২০০২ সালে সালমান খানের সঙ্গে ঐতিহাসিক বিচ্ছেদের পর ঐশ্বরিয়া রাই একটিও শব্দ উচ্চারণ করেননি। আর এর পেছনে ছিল তার ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদাবোধ। এমনটাই দাবি করেছেন নির্মাতা প্রহ্লাদ কাক্কর।
কাক্কর বলেন, ‘নীরবতা ছিল তার (ঐশ্বরিয়া) শক্তি এবং তিনি জীবনের শুরুর দিকেই তা বুঝে গিয়েছিলেন।’
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রহ্লাদ কাক্কর ২০০২ সালে ঐশ্বরিয়া–সালমানের বহুল আলোচিত সম্পর্কচ্ছেদের প্রসঙ্গ টানেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ঐশ্বরিয়া খুব ইনট্রোভার্ট পারসন। তিনি সবার সামনে খোলামেলা নন। তার খুব সীমিত কিছু বন্ধু আছে, যাদের তিনি বিশ্বাস করেন, শুধু তাদের সঙ্গেই তিনি মন খুলে কথা বলেন। অন্যথায়, তিনি খুবই সাবধানী। আর যখন মিডিয়া কারও নাগাল পায় না, তখনই তারা খারাপভাবে কথা বলতে শুরু করে।’
ঐশ্বরিয়া কেন বিচ্ছেদের পরও চুপ ছিলেন— সে বিষয়ে কাক্কর আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘কারণ সেটাই তার মর্যাদা। তিনি বুঝেছিলেন, নীরবতাই তার সম্মান ও শক্তি। এই নীরবতাই মিডিয়াকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। তারা বারবার চেষ্টা করেছে ঐশ্বরিয়াকে অপমান ও আক্রমণ করতে, যেন তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেন। কিন্তু তিনি কখনও তা করেননি।’
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘সালমান খান ‘কঠিন মানুষ’, যার ‘অনেক ব্যক্তিগত সমস্যা’ রয়েছে।’’
সালমানের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কেন চুপ ছিলেন ঐশ্বরিয়া
‘হাম দিল দে চুকে সানাম’-এর শুটিং চলাকালে ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিন বছরের সম্পর্ক শেষে ২০০২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এই বিচ্ছেদ ছিল অত্যন্ত আলোচিত। ঐশ্বরিয়া রাই পরে বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, সেই সম্পর্কে তিনি শারীরিক নির্যাতনের শিকারও হয়েছিলেন।
পরে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বচ্চন পরিবারে ঐশ্বরিয়া থিতু হলেও সালমান খান এখনও রয়েছেন সিঙ্গেল!