নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইল সদর উপজেলায় ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ খোদ বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেছেন।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও পুলিশ কথা বলতে রাজী হননি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম সদরের মাগুরা কালুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন আর চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাড়ি নড়াইল সদরের বোড়ামারা গ্রামে।
শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, গত ১৫ অক্টোবর বিকেলে নড়াইল সদরের মাগুরা কালুখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ছুটির পর ৪র্থ শ্রেণির ৪ জন শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম। একজন ছাত্রী মায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে বাহিরে গেলে অন্য দুই ছাত্রকে পাঠালেন জাতীয় পতাকা খুলতে। এই ফাঁকে কোমলমতি ছাত্রীকে একা পেয়ে রুমের দরজা চাপিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর স্থানে খারাপ ভাবে স্পর্শ করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় শিক্ষার্থীর চিৎকার ও কান্নার শব্দে তার অন্য সহপাঠীরা ছুটে এসে দরজা ধাক্কা দিয়ে খোলেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে তড়িঘড়ি করে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দিতে দেখেন তার সহপাঠীরা।
ঘটনার পরদিন ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ৭ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করেন। পরিবার মামলা দায়ের করলে ওই শিক্ষক গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে যান। সদর থানা পুলিশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।