নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিশ্বের বৃহত্তম পরিবেশ বিষয়ক পুরস্কার ‘দ্য আর্থশট-২০২৫’-এর ‘ফিক্স আওয়ার ক্লাইমেট’ ক্যাটাগরিতে ফাইনালিস্ট নির্বাচিত হয়েছে দেশের স্বনামধন্য সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ম্যানগ্রোভ বনায়ন এবং টেকসই সমাধানের স্বীকৃতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয় ফ্রেন্ডশিপকে। সম্প্রতি অনলাইনে দ্য আর্থশট প্রাইজ-২০২৫ ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর্থশট ফাউন্ডেশন।
আর্থশট প্রাইজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, “এ বছর দশ বছরের মিশনের অর্ধেক পথে এসেছি আমরা। এবারের ফাইনালিস্টরা আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। মাত্র পাঁচ বছরে আর্থশট অ্যাওয়ার্ড দেখিয়ে দিয়েছে, পৃথিবীর সব বড় চ্যালেঞ্জ গুলোর সমাধান আমাদের মাঝে এবং নাগালের মধ্যে রয়েছে।”
ফ্রেন্ডশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা রুনা খান বলেন, “আর্থশট প্রাইজের ফাইনালিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের জন্য এক বিশাল সম্মান। বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দৃঢ়তা ও উদ্ভাবনকে এটি তুলে ধরছে। ভাসমান হাসপাতাল থেকে শুরু করে ম্যানগ্রোভ বনায়ন এবং বন্যা সহনশীল গ্রাম নির্মাণে আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা দেখিয়েছি, স্থানীয় বাসিন্দাদের নেতৃত্ব ও সম্পৃক্ততায়, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান বদলে দিতে পারে তাদের জীবন।
কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আর্থশট ফাইনালিস্ট হওয়ার মাধ্যমে আগামী এক বছর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ফ্রেন্ডশিপ-এর ম্যানগ্রোভ সংক্রান্ত কার্যক্রম তুলে ধরা, জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন আর্ন্তাতিক নেটওয়ার্কে ফ্রেন্ডশিপ’কে গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করা, আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগের তৈরিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে দ্য আর্থশট প্রাইজ কর্তৃপক্ষ।
সুন্দরবন উপকূলে ২০০ হেক্টরেরও বেশি এলাকায় ৬ লাখ ৫০ হাজার ম্যানগ্রোভ গাছ রোপণ করেছে যা ৬২ কিলোমিটারের বেশি। এই ম্যানগ্রোভ বন শুধু ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ঙ্কর প্রভাব থেকে নয়, বরং স্থানীয় ১ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি গ্রামবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। একই সাথে স্থানীয় জনগণের জীবিকার সুযোগ তৈরি করছে এটি। এর মাধ্যমে শক্তিশালী করা হচ্ছে নীল কার্বন বাস্তুতন্ত্রকে।