নিউজ ডেস্ক:
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, উপদেষ্টারা সেফ এক্সিট খুঁজছেন– নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্য তাকেই প্রমাণ করতে হবে। আমি কোনও এক্সিট খুঁজছি না। দেশে ছিলাম, বাকিটা জীবন বাংলাদেশেই কাটাবো।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা বলেন, সব রাজনৈতিক দলের মতো নবগঠিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সরকারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এখন সেই দলের প্রধান নাহিদ ইসলাম কী কারণে, কোন অভিমান থেকে উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট বা এ সংক্রান্ত মন্তব্য করেছেন, সেটি তাকেই পরিষ্কার করতে হবে। তাদের অনানুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য নিয়ে সরকারের পক্ষে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন। তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) কথা ভাবছেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি, পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক আছে। শুধু ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। সব রাজনৈতিক দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের পক্ষে। তাদের কাযক্রমও শুরু করেছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। এখানে আর কোনও প্রশ্নবোধক চিহ্ন নেই। আর কোনও সুযোগ না বা অবকাশ আছে বলে আমরা মনে করছি না। দ্বিতীয়ত সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। বিচার বিচারের গতিতে চলছে। বিচার কীভাবে চলছে সেটা প্রত্যেকে আপনার প্রত্যক্ষ করতে পারছেন এবং বিচারের ক্ষেত্রে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি তাতে আমরা দেখিয়েছি, যখন আমরা দেখেছি, একটা ট্রাইব্যুনালের ওপর চাপ বেশি হয়ে যায় আমরা আরেকটা ট্রাইব্যুনাল বানিয়েছি। কাজেই বিচার বিচারের গতিতে চলছে। আমরা সেটিতে প্রাধান্য দিচ্ছি। প্রাধান্য দিয়ে সে অনুযায়ী কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। বিচার আমরা অবশ্যই চাই। আমরা চাই, সুবিচার নিশ্চিত হোক। সুবিচার নিশ্চিত করার পদ্ধতিই অনুসরণ করা হচ্ছে।
ঐকমত্যের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ঐকমত্য হয়নি, এ কথা ঠিক না। অনেক বড় বড় বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। অনেক বিষয়ে সংস্কারকেন্দ্রিক ঐকমত্য হয়েছে। সেসব বিষয়ে ঐকমত্যের বাস্তবায়নটা কীভাবে হবে সেখানেও আলোচনা হয়েছে। সেখানে মোটামুটি বিভিন্ন অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গণহত্যার বিচার কখন হবে প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, আগে পুরো শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হবে, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে, তার পরে বলা যাবে। এর আগে এটা বলা সম্ভব না। দেড় বছরে বিচারের রায় হয়েছে এমন উদাহরণ আছে। এবারেও হতে পারে।
নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার আগেই বলেছে, সরকার একটা স্বচ্ছ নির্বাচন চয়। জনগণ যেখানে অংশ গ্রহণ করবে এবং এই অংশগ্রহণে যাতে কোনও অন্তরায় না আসে সে জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। কোনও রাজনৈতিক দলের অংশ গ্রহণ করা না করার বিষয়টি আইনি হতে পারে।
এই সরকারের আমলেও নির্বাচন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।