হোম খুলনাসাতক্ষীরা সাতক্ষীরায় নদীকৃত্য দিবসের আলোচনা: নাব্যতা হ্রাসে অবৈধ দখল ও অপরিকল্পিত খননই দায়ী

সাতক্ষীরায় নদীকৃত্য দিবসের আলোচনা: নাব্যতা হ্রাসে অবৈধ দখল ও অপরিকল্পিত খননই দায়ী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 64 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

“আমাদের নদীগুলো, আমাদের ভবিষ্যৎ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন বেসরকালী সংগঠনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা জেলার নদী-খালের নাব্যতা হ্রাসের জন্য অবৈধ দখল ও অপরিকল্পিত খননকে দায়ী করেন।

পরিবেশ কর্মী মাধব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এড. আজাদ হোসেন বেলাল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সাতক্ষীরা ইউনিটের সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, প্রাণ সায়ের খাল বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক প্রফেসর মোজাম্মেল হোসেন, নাগরিক নেতা প্রফেসর পবিত্র মোহন দাস, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবুল, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, বেতনা বাঁচাও আন্দোলনের মফিজুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদা আকতার বিউটি, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না দত্ত, সাংবাদিক গোলাম সরোয়ার ও এসএম বিপ্লব হোসেন, ক্রিসেন্ট পরিচালক আবু জাফর সিদ্দীকি, যুব নেতা রুবেল হোসেন প্রমুখ। সভায় ধারণাপত্র পাঠ করেন, লুইস রানা গাইন।
বক্তারা এসময় বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলো অবৈধ দখল, দূষণ, ভূতাত্তি¡ক পরিবর্তন ও জলসম্পদের ভারসাম্যহীনতায় হুমকির মুখে। সাতক্ষীরা নদীবেষ্টিত জেলা হওয়ায় এখানকার কৃষি, জীবন-জীবিকা, বাণিজ্য ও সংস্কৃতি নদীকেন্দ্রিক। কিন্তু দখল, দূষণ, জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদনে পরিবর্তন এসেছে। নদী রক্ষা ও পানি ব্যবস্থাপনায় সমন্বিত উদ্যোগ ও টেকসই পরিকল্পনার বিকল্প নেই।
বক্তারা আরও বলেন, দেশে নদী ও পানি সংক্রান্ত বহু আইন-নীতিমালা থাকলেও বাস্তবায়ন নেই। আদালতের রায়ও অকার্যকর হয়ে পড়ছে। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে সমন্বিতভাবে সক্রিয় না করলে নদী রক্ষা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর সংকট সমাধানে রাজনৈতিক অঙ্গীকার জরুরি।
সভায় নদী-খাল ও জলাশয় সুরক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ ও সহযোগিতামূলক মানসিকতা গড়ে তোলা, সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাধারণ মানুষের গণসম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণ, সবার জন্য সাধারণ নীতি ও কৌশলগত নমনীয়তা প্রণয়ন, নদী তালিকা সংযোগ ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ, স্থানীয় পর্যায়ে প্রেশার গ্রæপ গঠন ও অ্যাডভোকেসি চালানো, বিদ্যমান আইন-নীতিমালা ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা, প্রশাসন, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে সক্রিয় করে ভূমিকা পালনে বাধ্য করা, প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, আন্তঃসীমান্তীয় নদী ব্যবস্থাপনায় রাজনৈতিক অঙ্গীকার নিশ্চিত করা, নিয়মিত সমন্বয় ও ফলো-আপ কাঠামো গড়ে তোলা, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক মাধ্যম ব্যবহার করে জনমত গঠন ও সরকারি প্রকল্পে জনগণের মতামত গ্রহনে দাবি জানানো হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন