স্পোর্টস ডেস্ক:
এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ জিতলেও রান রেটের দিকে ছিল না নজর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে এখন সামনের পথটা আরও কঠিন করে ফেলেছে বাংলাদেশ। সমীকরণ এখন এমন দাঁড়িয়েছে, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ দুই দলই যদি আফগানিস্তানকে হারায় এবং নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কা হংকংয়ের বিপক্ষে জেতে, তাহলেই সুপার ফোরের টিকিট কাটবে টাইগাররা। বাংলাদেশ যদিও গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার আশা ছাড়ছে না। দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা জাকের আলী ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আশা ছাড়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। আমরা জেতার জন্যই খেলবো। এ ম্যাচেও জেতার মানসিকতা নিয়ে নামলেও হয়নি। পরের ম্যাচেও জেতার মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামবো। আর কোনও উপায় নেই।’
এসময় নিজেদের লক্ষ্যের কথা আবারও জোর দিয়ে জানান জাকের, ‘আমরা শুধু ম্যাচ খেলার জন্য নয়, চ্যাম্পিয়ন হতে এসেছি। একটি ম্যাচ হেরে যাওয়া মানে এই নয় আশা শেষ। আমরা অবশ্যই জেতার জন্য খেলবো।’
জাকের আলী অবশ্য স্বীকার করেছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এর ফলেই তারা চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো স্কোর দাঁড় করাতে পারেনি। ফলে ১৪০ রানের লক্ষ্য ১৪.৪ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা ছিল ভয়াবহ। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শূন্য রানে দুই উইকেট হারায় তারা। পরে মিডল অর্ডারও ধুঁকতে থাকে, এক পর্যায়ে ৫৩ রানে হারায় পাঁচ উইকেট। শেষ দিকে জাকের আলী (৪১*) ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী (৪২*) অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটি গড়লেও তা লঙ্কানদের ওপর কোনও চাপ তৈরি করতে পারেনি। ব্যাটারদের নিয়ে জাকেরের মন্তব্য, ‘আমি মনে করি আমাদের দলে ওপেনার আর তিন নম্বর ব্যাটারের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমরা সবাই জানি এবং ওদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে এর মানে এই নয় যে পাওয়ারপ্লেতে প্রতিটি বলে চার-ছক্কার জন্য খেলতে হবে। ড্রপ অ্যান্ড রান, স্ট্রাইক রোটেট করা—এসব মাথায় রাখতে হবে। আশা করি ওরা বিষয়টা ভেবে পরের ম্যাচে ভালো করবে।’
ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে জাকের অবশ্য কৌশলে মন্তব্য করেছেন, ‘পাওয়ারপ্লের ব্যর্থতা নিয়ে ওরাই ভালো বলতে পারবে। তবে আমার মনে হয়, যদি শুরুতে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা পরিকল্পনা মেনে মনোযোগী হতে পারতাম, তাহলে ফল ভালো আসতো। ব্যাটিং ইউনিট মানে সবাই—আমি বা পাটোয়ারী ভালো খেলেছি মানে শুধু আমরাই ভালো করেছি তা নয়। সবাই মিলে খারাপ খেলেছি, আর সবাই মিলে হেরেছি।’
খেলার সময় বাতাসের প্রভাব নিয়েও কথা বলেন জাকের, ‘উইকেটের দুই পাশে সমানভাবে রান করা সহজ নয়। বাতাস এখানে বড় ফ্যাক্টর। একদিকে বেশি খেলতে হবে, আরেকদিকে আক্রমণে যেতে হলে বাতাসের কথা মাথায় রাখতে হবে। আমি বারবার টপ অর্ডারের দোষ দিতে চাই না। শুরুটা ঠিক থাকলে ঝুঁকি কম থাকতো। উইকেট না থাকায় আমরা ঝুঁকি নিতে পারিনি।’