হোম খুলনাসাতক্ষীরা শ্যামনগরে ইউপি সদস্য ও নারীদের নিয়ে জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেট বিষয়ক প্রশিক্ষণ

শ্যামনগরে ইউপি সদস্য ও নারীদের নিয়ে জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেট বিষয়ক প্রশিক্ষণ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 51 ভিউজ

পরিতোষ কুমার বৈদ্য:

সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নারীদের নেতৃত্বে উন্নয়ন ও সক্রিয় নাগরিকত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।

তারই ধারাবাহিকতায় ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্প অফিসে দুই দিনব্যাপী উক্ত প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। শেষদিনে বিকাল ৪ টায় সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উক্ত প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, সভাপতি হিসাবে  উপস্থিত ছিলেন এনগেজ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার  নিলিমা রানী,২ দিন ব্যাপী জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেট প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেইথ ইন এ্যাকশনের পরিতোষ কুমার বৈদ্য আরও উপস্থিত ছিলেন  সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্পের সকল কর্মীবৃন্দ, প্রশিক্ষণ টিতে অংশগ্রহণকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্পের নারী দলের  ৯ সদস্য জন , মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ১ জন সচিব, ১ জন চেয়ারম্যান, ও ৪ জন ইউপি সদস্য, ১ জন সমাজসেবা কর্মকর্তা , ১ জন উপসহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও ১ জন এনজিও কর্মীসহ মোট ২০ জন প্রমূখ।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, জিও এবং এনজিও মিলে কাজ করে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আপনারা সকলে বাড়ির অনেক কাজ ফেলে আজ এখানে প্রশিক্ষণে এসেছেন। ট্রেনিং শুধু উপস্থিত হইলে হবে না প্রশিক্ষণ পেয়ে সেটি বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। এনগেজ প্রজেক্ট নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে।এই প্রশিক্ষণটি নারী-পুরুষ উভয়েরই প্রয়োজনীয় বাজেট তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষণ। আপনার জায়গা থেকে যতটুকু সহযোগিতা করতে পারেন ততটুকু করবেন এবং গল্প আপনাদেরকে সহযোগিতা করবে। আপনারা আয়ের অনুপাতে ব্যয় করবেন তাহলে জীবনে উন্নতি আসবে। আর্থিক উন্নতি করতে গেলে আয় ও ব্যয়ের সামঞ্জস্য রাখতে হয়। আপনাদের জীবনের প্রত্যেকের একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ থাকতে হবে তাহলে সেই লক্ষ্য অবলম্বন করে আপনারা স্বাবলম্বী হতে পারবেন। আপনাদের ইচ্ছা এবং মনোবলকে কাজে লাগাবেন তাহলে বাংলাদেশেরও পরিবর্তন সম্ভব।

‎বিথীকা মন্ডল বলেন, এই দুই দিনের প্রশিক্ষণে যে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে তা থেকে আমরা যে শিক্ষা গ্রহণ করেছি সেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ও সামাজিক জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সাংসারিক জীবনে বা কোন পরিষদের বাজেট আমাদের আয়ের উপরে নির্ভর করে তৈরি করতে হবে। এই বাজেটে যদি নারীদের আয়ের দিক তুলে ধরা হয় সমাজ ও সংসারের পুরুষেরা নারীদের অংশগ্রহণ স্বীকার করবে।

‎মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য কাজল কান্তি সরকার বলেন, আপনারা কেউ মনে করবেন না যে নারীরা এই প্রশিক্ষণ থেকে আমরা এগুলো উপলব্ধি করেছি যে, নারীদেরকে কখনো আমরা পিছিয়ে রাখবো না। প্রত্যেকের মাঝে যে বিন্দু বিন্দু অভিজ্ঞতা আছে সেগুলো সংসারে, সমাজে এবং দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।

উপসহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আহসান হাবীব বলেন, আজ এই প্রশিক্ষণ এসে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমরা চেষ্টা করব আগামী বছরের বাজেটে নারী-পুরুষ ভাগ ভাগ করে বাজেট তৈরি করার।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন