মোল্লাহাট (বাগেরহাট) সংবাদদাতা:
সোমবার (৮সেপ্টেম্বর) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল ৬টা থেকে মোল্লাহাট উপজেলায় ব্যাপক হরতাল পালিত হয়েছে। জেলা নির্বাচনী এলাকার চারটি আসন কমিয়ে তিনটি করার সরকারি গেজেট প্রকাশের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে এই হরতাল ঘোষণা করা হয়।
বাগেরহাট জেলার সর্বদলীয় কমিটির পক্ষ থেকে এই হরতালের আহ্বান করা হয়েছিল। সকাল ৬টা থেকেই উপজেলার প্রধান বাজারগুলো বন্ধ থাকায় জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, সরকারি অফিস এবং গণপরিবহন সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
হরতালে অংশ নেওয়া স্থানীয়রা জানান, “চারটি আসন হ্রাস করা হলে জনগণের প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে। এটি স্থানীয় গণতান্ত্রিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করছে।” তারা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেন এবং প্রশাসনের কাছে দাবী জানান যে, আসন হ্রাসের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক।
হরতালের সময় মোল্লাহাট উপজেলার আবুল খায়ের সেতুর(ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক) উপর অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের জানানো তথ্য অনুযায়ী, কোন ধরনের কোনো সংঘর্ষ বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা জুড়ে মহাসড়ক, টোলগেট ও বাজার এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালানো হয়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “ সরকার আমাদের এলাকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা না করে হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনগণের দাবী উপেক্ষা করা হয়েছে। নির্বাচনী আসনের সংখ্যা কমানো বা বৃদ্ধি করা জনসংখ্যা, প্রশাসনিক সুবিধা এবং রাজনৈতিক ভারসাম্যের দিক থেকে বিবেচনা করা উচিত। হঠাৎ গেজেট প্রকাশ করায় জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সর্বদলীয় কমিটির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসির প্রকাশিত গেজেটেড বাতিল করার অনুরোধ জানান তিনি।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন আল রশীদ বলেন, বাগেরহাটবাসী হরতালের মাধ্যমে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। ইসি যদি প্রকাশিত গেজেট বাতিল না করে তবে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে বাগেরহাট জেলাকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মোল্লাহাট উপজেলা আমীর হাসমত আলী সরদার বলেন, বর্তমানে বাগেরহাট জেলার ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে বিতর্কিত গেজেট অনুযায়ী এটি ৩ আসনে সীমিত করা হয়েছে। নির্বাচনী মানচিত্র ও আসনের সংখ্যা নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্তের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।