নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ৪নম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা মেহেদী হাসান সবুজের নেতৃত্বে অনৈতিক সুযোগের মাধ্যমে দুঃস্থ গরীব মানুষের একটি শিশু কার্ড বাদ দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী একজনকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিম কুলিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল্লাহ মিলন এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মেহেদী হাসান সবুজের নেতৃত্বে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর একটি দুঃস্থ গরীব পরিবারের সদস্যের নামে বরাদ্দকৃত শিশু কার্ড কেটে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী একজনকে দেওয়া হয়। এনিয়ে কুলিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে শতশত মহিলাসহ এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে এসে ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর ও সবুজের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
আব্দুল্লাহ মিলন আরো বলেন, এঘটনাকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতার জেরধরে আমি কুলিয়া বাজারে একটি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় সবুজ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার উপর চড়াও হয়ে আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। এসময় সবুজের সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদল ও তাঁতিদল থেকে বহিষ্কৃত রাফিজুর রহমান ওরফে রাফিজ হোসেন, দেবহাটা উপজেলা যুবদল থেকে বহিষ্কৃত আবু লাহাব লাপ্পা, কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম লাজ্জু, যুবলীগ ক্যাডার কামরুল ইসলামসহ আরো ১৫/২০ জন। একপর্যায় তারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং একজন সাংবাদিকসহ উপস্থিত মহিলাদেরকে শারীরিক ভাবে হেনেস্তা করে। এসময় তারা ওই সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাংচুর করে। একপর্যায় সবুজসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা আমাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় কুলিয়া বাজারের লোকজনসহ এলাকাবাসী মুমূর্ষ অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে আমি চিকিৎসা গ্রহণ করে কিছুটা সুস্থ হয়েছি।
তিনি বলেন, এমতবস্থায় সবুজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অব্যহত হুমকি ধামকিতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে আছে। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য আমি স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং একই সাথে সবুজ বাহিনীর সদস্যদের আইনের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।