হোম খুলনাসাতক্ষীরা জমি দখল থেকে চাঁদাবাজি! আশাশুনিতে দুই বাহিনীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

জমি দখল থেকে চাঁদাবাজি! আশাশুনিতে দুই বাহিনীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 69 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনির শরিফ ও রবিউল বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। সোমবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ নুরুল গাজী। তিনি আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মতলেব গাজীর ছেলে। তিনি বড়দল ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বামনডাঙ্গা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম, একই গ্রামের অজিহার রহমান গাজীর ছেলে আব্দুল মজিদ গাজী। তিনি বড়দল ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। এছাড়া, গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের সামছুর রহমান সরদারের ছেলে মোঃ নুর ইসলামসহ অর্ধশত গ্রামবাসী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে নূর ইসলাম বলেন, আমি একজন কৃষক। কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এমতাবস্থায় শরিফ ও রবিউল বাহিনী আমাকে চাম্পাখালী মৌজায় ৮ শতক জমি ক্রয় করে দেওয়ার কথা বলে। তারা ভূয়া দলিল করে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া জোরপূর্বক ১৭ শতক ধানের জমি দখল করে নিয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আমার কাছে তিন  লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে। চাদা না দিলে আমার ভিটেবাড়ি দখল করে নেওয়ার হুমকি দেয়।  এবিষয়ে বাহিনীর বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

একই অভিযোগ এনে আরেক ভুক্তভোগী মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, আমি একজন কৃষক, কৃষিকাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করি। আশাশুনি উপজেলার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও অন্যের সম্পদ দখলকারী বাহিনী নামে খ্যাত শরিফ, রবিউল ও গফুর। এই বাহিনী আজ সোমবার সকাল ৯ টার দিকে আমার পৈত্রিক ১ একর ৬৭ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে ধান চাষ করেছে। বাধা দিতে গেলে আমাকে তার লাঠিয়াল বাহিনী ধাওয়া করে। জীবনের নিরাপত্তার জন্য কোন রকমে পালিয়ে চলে আসি। জমি দখল এবং ধাওয়া করার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি আরো বলেন, এই বাহিনী বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে এভাবেই সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করতো। এখনো তারা জমি দখল ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে। একই ধরণের অভিযোগ করেছেন মোঃ আব্দুল মজিদ গাজী নামের কৃষক। তিনি বলেন, গত ২৩ জুন‘২৫ শরিফ, রবিউল ও গফুর গং ৬ বিঘা মৎস্য ঘের থেকে মাছ লুটপাট করেছে। যার মূল্য প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা এব্যাপারে আশাশুনি থানায় অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ।

নূরুল গাজী নামের আরেক কৃষক বলেন, শরিফ, রবিউল ও গফুর বাহিনী আমার লীজ নেওয়া ১৬ বিঘা জমির আমন ধান জোর করে কেটে নিয়েছে। এবিষয়ে আশাশুনি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ জানায়, জমির মূল মালিক এসে থানায় রিপোর্ট করলে ধান ফেরত দেওয়া হবে। এরপরও ওই বাহিনী আজ সোমবার সকালে আমার লীজকৃত জমিতে জোর করে করছে। লাঠিয়াল বাহিনীর সাথে মোকাবেলার মতো ক্ষমতা না থাকায় আমি সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছি। তিনি বলেন, স্থানীয় বিএনপি-যুবদলের ছত্রছায়ায় এই বাহিনী চাদাবাজী, জমিদখলসহ সকল ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে।

তারা এই বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সাথে জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দকেও তাদের দলীয় পদক্ষেপ নিতে আহবান জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন