হোম আন্তর্জাতিক ট্রাম্পের পায়ে ফোলা, হাতে কালশিটে ধরা পড়েছে ধমনীর জটিলতা

ট্রাম্পের পায়ে ফোলা, হাতে কালশিটে ধরা পড়েছে ধমনীর জটিলতা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 42 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পায়ে ফোলা ও হাতে কালশিটে দাগ দেখা দিয়েছে। এরপর চিকিৎসকরা তার শরীরে ‘ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি’বা দীর্ঘমেয়াদি শিরাজনিত রক্তসঞ্চালন ব্যাঘাত শনাক্ত করেছেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “এটি একটি সাধারণ ও ক্ষতিকর নয় এমন অবস্থা, যেখানে শিরার ক্ষতির কারণে রক্ত স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে না।”

তিনি প্রেসিডেন্টের চিকিৎসকের চিঠি পড়ে শোনান, যেখানে বলা হয়েছে— ৭০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি। ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়া ব্যক্তি।

২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প বারবার তার প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের বয়স ও মানসিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদিও বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে তিন বছরের বড়, নির্বাচনের কিছু আগে দলীয় চাপের মুখে তিনি প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ান এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের হাতে প্রার্থিতা তুলে দেন। আর গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে পরে তাকেও হারিয়ে দেন ট্রাম্প।

তবে হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্পের শরীরে তেমন কোনো গুরুতর অসুস্থতার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লেভিট বলেন, “গভীর শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা বা ধমনী সংকটের কোনো লক্ষণ নেই। তার হার্ট, কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে।”

সাম্প্রতিক সময় ট্রাম্পের হাতের কালশিটে দাগ নিয়ে অনলাইনে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। হোয়াইট হাউসের এই মুখপাত্র জানান, “এই দাগগুলো সাধারণ সফট টিস্যুতে সামান্য জ্বালা বা রক্তক্ষরণের কারণে হয়েছে, যা ঘন ঘন হাত মেলানো এবং প্রতিদিন অ্যাসপিরিন সেবনের কারণে হয়ে থাকে। প্রেসিডেন্টের হার্টের নিয়মিত সুরক্ষা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অ্যাসপিরিন সেবন করে থাকেন তিনি।”

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টদের জন্য শারীরিক প্রতিবেদন প্রকাশ বাধ্যতামূলক না হলেও এটি অনেকটা নিয়মে পরিণত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হ্যারল্ড বর্নস্টেইন এক চিঠিতে বলেছিলেন, “আমি নিঃসংশয়ে বলতে পারি, ট্রাম্প হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে যাওয়া ইতিহাসের সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি।”

পরবর্তীতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্নস্টেইন স্বীকার করেন, সেই চিঠির বর্ণনাগুলো আসলে ট্রাম্প নিজেই লিখে দিয়েছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন