হোম রাজনীতি সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বেড়ে গেছে, নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার: ইসলামী আন্দোলন

সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বেড়ে গেছে, নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার: ইসলামী আন্দোলন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 36 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, দেশে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বেড়ে গেছে। বাস স্ট্যান্ড, বাজারঘাটসহ সর্বত্র একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। অপরদিকে, দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় করার দাবি জনগণ না জানালেও সরকার সে উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এখনও সময় আছে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গোপালগঞ্জে জুলাইযোদ্ধাদের ওপর হামলা, দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদ এবং ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয় খোলার অনুমতি বাতিলের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।

বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইউম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল আউয়াল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি আবুল কাশেম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান, ইসলামী যুব আন্দোলনের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও দাওয়া সম্পাদক মুফতি লতিফুর রহমান প্রমুখ।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির নির্বাচন হলে প্রতিটি ভোটারের ভোট মূল্যায়ন করা হবে। দেশে অন্যায় ও দুর্নীতি কমবে। তাই একটি বড় দল এ পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। আমরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে অনড় রয়েছি। আরও অনেক দল তা চায়। তিনি নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করার জোর দাবি জানান।

দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় একটি দলের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। দেশের মানুষ আগামীতে কোনও চাঁদাবাজকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। তিনি গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তান ও কাশ্মীরে জাতিসংঘ কিছু করতে পারেনি। তাই বাংলাদেশে তাদের মানবাধিকার কমিশনের দরকার নেই। আমরা যথেষ্ট মানবিক।

কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইউম বলেন, প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। তারা দায়িত্ব পালন করতে না পারলে যেন ইস্তফা দিয়ে চলে যায়।

তিনি অভিযোগ করেন চাঁদাবাজির ও ধর্ষণের কথা বলায় একটি দলের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। তাদেরকে মুখ সামলিয়ে কথা বলার আহ্বান জানান তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন