হোম অন্যান্যসারাদেশ টানা বৃষ্টিতে টেকনাফে পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার, সঙ্গে পাহাড়ধস

টানা বৃষ্টিতে টেকনাফে পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার, সঙ্গে পাহাড়ধস

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 56 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
কক্সবাজারের টেকনাফে টানা বৃষ্টিতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। সেই সঙ্গে টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের খবর পাওয়া গেছে। অবস্থায় অন্তত ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা সহ নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা লোকজনদের খাবার ও জরুরি ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

স্থানীয়রা জানান, টানা সপ্তাহজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার। সে সঙ্গে পাহাড় ধসে সাতটি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় ছেড়ে সরে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা বসবাস কারীদের মাঝে দৈনিক তিনবেলা খাবার দেওয়া হচ্ছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, মঙ্গলবার সকালে হোয়াইক্যং লম্বাবিলে পাহাড় ধসে সাতটি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনার খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া যেসব গ্রামে পানিবন্দি মানুষ তাদেরকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার ইউনিয়নের চার থেকে পাঁচটি গ্রামে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিন থেকে চারশ পরিবার। তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তায় দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন অবস্থা কিছুটা উন্নতি হচ্ছে, পানি ধীরে ধীরে নেমে নদীতে চলে যাচ্ছে।

সাবরাংয়ের বাসিন্দা আমির হামজা বলেন, আমাদের গ্রামের সঙ্গে সাগর, ভারী বৃষ্টিপাতে ও জোয়ারের পানি ঢুকলে দ্রুত পানি সরে যেতে পারে না। গত কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি ছিলাম। রান্না করতে পারি নাই। তবে কিছু কিছু ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছি। আমাদের গ্রামে কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টেকনাফ মায়মুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়ে থাকা রোজিনা আক্তার বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে সরে এই বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছি। আমাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিজেদের ঘরে চলে যাবো।

এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, টানা ভারী বৃষ্টিপাতে টেকনাফ উপজেলার ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া শুরু করছি। সেন্টমার্টিনে চাল পাঠানোর জন্য মঙ্গলবার সকালে ট্রলার ভর্তি চাল তোলা হয়েছে। চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে চাল নিয়ে যেতে সাগরের আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখে ট্রলার দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।

তাছাড়া টেকনাফ মায়মুনা সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়ে থাকা ৫০০ জনকে দৈনিক তিন বলা খাবার দেওয়া হচ্ছে এবং সোমবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসক নিজে এসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন।

টানা বর্ষণে টেকনাফের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ২ হাজার পরিবারটানা বর্ষণে টেকনাফের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার
তিনি আরও বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এখন কিছু কিছু গ্রামে পানি নামতে শুরু করছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয় সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন