নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা সদরের মচ্চিাপ নদীর বেঁড়িবাধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত আশাশুনি বাজার ও তার আশে পাশের শত শত ব্যবসায়ী ও জনবসতি এলাকার মানুষ নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তার উপর পাউবোর ১৫ দিনের মধ্যে স্থাপনা অপসারনের ঘোষণা তাদের যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, মচ্চিাপ নদীর বেঁড়িবাধ ভাঙনে এর আগে বাজারের অসংখ্য দোকান, পুরাতন হাসপাতাল, অফিস ও শত শত বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী খনন কাজ শুরু হলে বাজার রক্ষা ও এলাকার শত শত বাসিন্দাদের রক্ষার জন্য সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদী খননের দাবীতে মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি পেশসহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করা হয়। কিন্তু তৎকালীন সময়ে রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে জনদাবী বাস্তবায়ন হয়নি। তবে, আজ প্রমানিত হচ্ছে মানুষের দাবী কতটা যৌক্তিক ছিল। সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদী খনন হলে বাজারটি পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতো। কিন্তু বর্তমানে ভাঙনের কবলে পড়ে আবারো দূরে সরে গড়ে তোলা দোকান পাট, অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুনরায় নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়তে শুরু হয়েছে। দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে বাজারের অবশিষ্ট দোকান পাট ও স্থাপনার বড় অংশ ভাঙ্গনের কবলে পড়বে। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবী, নদী প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু স্থাপনা অপসারন করা হোক। ওয়াপদার পাশে শত শত দোকান পাট, অফিস, ব্যাংক বীমা, স্থাপনা, হাজার হাজার পরিবারের ঘরগৃহ যারা বছরের পর বছর ওয়াপদার পাশে বসবাস করে আসছে, তাদের অপসারন না করে বৈধ প্রক্রিয়ায় রাজস্ব নিয়ে বসবাস ও ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দেয়ার দাবী জানান তারা। একই সাথে বাজার ও জনবসতি এলাকা রক্ষার জন্য দ্রুত ব্লক ফেলে সেখানে টেকসই বাঁধ নির্মানের ব্যবস্থা করার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাজার, উপজেলা পরিষদ, থানা, স্কুল, দোকান পাট, অফিস, বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।
এদিকে, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে, জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাজার কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক এবিএম আলমগীর পিন্টু, সহ-সভাপতি প্রভাষক ইয়াহিয়া ইকবাল, অর্থ সম্পাদক আহসান উল্লাহ, প্রেসক্লাব সভাপতি জি এম আল ফারুক, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান প্রমুখ।