হোম আন্তর্জাতিক বল এখন ভারতের কোর্টে: পাকিস্তান

বল এখন ভারতের কোর্টে: পাকিস্তান

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 12 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উত্তেজনা নিরসনে বল এখন ভারতের কোর্টে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। শনিবার (১০ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা বলার সময় ইসহাক দার এই মন্তব্য করেছেন।

পাকিস্তানি ব্রডকাস্টার জিও নিউজকে ইসহাক দার বলেছেন, রুবিওর সঙ্গে কথোপকথনে আমি বলেছি বল এখন ভারতের কোর্টে। পাকিস্তানের এই ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ আমাদের অগ্রাধিকার নয় এবং আমরা সত্যি শান্তি চাই তবে সেটা যেকোনও দেশের আধিপত্য ছাড়া।

পাকিস্তানের এই মন্ত্রী জানান, শনিবার সকালে রুবিও, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তার আলাপ ইতিবাচক ছিল, তিনি আশা করছেন ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের ঘটনার মধ্য দিয়ে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা নতুন করে শুরু হয়। ভারত এই হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানকে দায়ী করে। এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ নেয়। এরমধ্যে সিন্দু পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতও রয়েছে। পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়। যার মধ্যে সিমলা চুক্তি স্থগিতসহ, ভারতের জন্য আকাশসীমা নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তান সিন্দু পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতকে যুদ্ধের শামিল হিসেবে ঘোষণা করে।

পাকিস্তানের হামলায় কাশ্মীরের জেলা কমিশনার নিহতপাকিস্তানের হামলায় কাশ্মীরের জেলা কমিশনার নিহত
এরপর থেকে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে টানা প্রায় ১২ রাত ধরে গোলাগুলি হয়। এই গোলাগুলির জন্য উভয় দেশই একে অপরকে দোষারোপ করে। তবে গত মঙ্গলবার ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তানি কাশ্মীরসহ অন্তত নয়টি জায়গায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তারা এই অভিযানের নাম দেয় ‘অপারেশন সিন্দুর’।

পাকিস্তানের দাবি, ভারত ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং এতে তাদের ৩৮ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। সেইসঙ্গে আহত হয়েছে শতাধিক। এ ছাড়া পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।

সংঘাত বাড়লে আরও ধুঁকবে পাকিস্তানের অর্থনীতি: মুডিস সংঘাত বাড়লে আরও ধুঁকবে পাকিস্তানের অর্থনীতি: মুডিস
তবে ভারত দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং হামলায় অন্তত ১০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

এ ছাড়া পাকিস্তান বাহিনীর গোলাবর্ষণে কাশ্মীরে ১৫ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে বলে জানায় ভারত।

এই হামলার পর থেকে দুই বৈরি দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি বার্তা দেওয়া হয়।

শেষমেশ শনিবার (১০ মে) পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ এর বদলা হিসেবে ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’ শুরু করেছে। পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতের পাঠানকোট, উধমপুরসহ বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

শ্রীনগর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, ভোর পৌনে ছয়টার দিকে সেখানে কয়েকটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কী কথা হলো রুবিও’রপাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কী কথা হলো রুবিও’র
এর আগে ভারত আর পাকিস্তান দুটি দেশই দাবি করে যে শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের ওপরে অপর দেশ থেকে হামলা হয়েছে। উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশ ফের হয়তো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এবার উত্তেজনা কমানোর ইঙ্গিত দেওয়া হলো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন