হোম এক্সক্লুসিভ কলারোয়ার বয়ারডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি’ বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ আত্মসাতের অভিযোগ

কলারোয়ার বয়ারডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি’ বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ আত্মসাতের অভিযোগ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 196 ভিউজ

দীপক শেঠ,কলারোয়া :

কলারোয়ার বয়ারডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি’র বিরুদ্ধে সরকারি ঔষধ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানায়, কলারোয়া উপজেলার ৭ নং চন্দনপুর ইউনিয়নের বয়ারডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আব্দুল আলিমকে পথিমধ্যে গতিরোধ করলে তার হাতে থাকা ব্যাগ থেকে ক্লিনিকের জন্য বরাদ্ধকৃত বিভিন্ন ধরনের সরকারি ওষুধ উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসি জানায়,শনিবার (০৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চন্দনপুর ইউনিয়নের বয়ারডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক হতে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত চন্দনপুর ইটভাটা সংলগ্ন এলাকার রাস্তায় ওই ঘটনাটি ঘটেছে ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে সিএইচসিপি আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে তার উপর স্থানীয়রা নজর রাখায় শনিবার সকালে তাকে ও তার ভগ্নিপতিকে পথরোধ করে

তল্লাশি করলে হাতে থাকা ব্যাগ থেকে প্যারাসিটামল,গ্যাসের ট্যাবলেট ও আমাশয় ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন কম্পোজিসানের সরকারি ওষুধ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যেয়ে অভিযোগের সত্যতায় অভিযুক্ত আব্দুল আলিমকে ওষুধসহ তার ইউপি কার্যালয়ে আনা হয়।

তাৎক্ষনিকভাবে ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমানকে জানালে, তিনি ৩ জনের একটি তদন্ত টিম গঠন করে ঘটনাস্থলে পাঠান।

এ ব্যাপারে টিএসও ডাক্তার জিয়াউর রহমানের কাছে সেল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্ত টিম শনিবার কোন লিখিত রিপোর্ট প্রেরন করেনি তবে রবিবার (৯আগস্ট) রিপোর্ট প্রেরন করলে অভিযোগের সত্যতা পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী জেরিন কান্তাকে জানালে, তিনি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সিএইচসিপি(দায়িত্বরত)আব্দুল আলীমের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন