আব্দুল্লাহ আল মামুনঃ
আসেনি এখনো মধুমাস। চলছে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ বাংলাদেশের অতি উৎকৃষ্ট জাতের মধ্যে হিমসাগর একটি। সুগন্ধজাত, সুস্বাদু অত্যন্ত রসালো এবং আঁশ বিহীন এই আমটির চাহিদা বাংলাদেশের সর্বত্রই শীর্ষে রয়েছে, সেই সাথে দেবহাটা তথা সাতক্ষীরার আমের চাহিদা দেশের বিভিন্ন শহর সহ বিদেশেও আছে।কিন্তু সেই চাহিদা কে কাজে লাগিয়ে দেবহাটা উপজেলার কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীরা সময়ের আগে গোবিন্দভোগ ও হিমসাগর আম ভাঙা শুরু করেছে, দেবহাটা উপজেলার আম ব্যাবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন শহরে আমের আচার করার জন্য কাচা আমের চাহিদা আছে, তাই এখন আটির আম ভাঙ্গাছি যে গুলা আচার তৈরির কাজে লাগে। আম ভাঙ্গার ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম না প্রকাশের শর্তে এক ব্যাবসায়ী বলেন আমরা আটির আমের সাথে কিছু কিছু গোবিন্দভোগ ও হিমসাগর আম পাড়া শুরু করেছি। আমরা ২০ ক্যারেট যদি আম ঢাকাতে পাঠায় তবে তার ভিতরে ১৫ ক্যারট আটির আম দিচ্ছি বাকি ৫ ক্যারেট দিচ্ছি হিমসাগর ও গোবিন্দভোগ। তবে দেখা যায় এই আম গুলা আমরা যদি ট্রাকের মাধ্যমে ঢাকাতে পাঠায় তবে বিভিন্ন সময় রাস্তায় চেক করে আম গুলা জব্দ করে বিনষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা আম গুলা বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে পরিবহনে করে বিভিন্ন শহরে পাঠাচ্ছি এতে করে রিক্স কম থাকে। ঢাকায় বসবাস রত দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের শামীম হোসেন সুনন বলেন আমরা বাজরে গিয়ে সাতক্ষীরা আম বলে বিক্রি হচ্ছে হিমসাগর প্রতি কেজি দরে ২০০ টাকা ও গোবিন্দভোগ ২২০ করে। এতে আমরা হতাশ হয়েছি কারণ সময়ের আগে আম পেড়ে সেই আম খেতে পাড়ছে না মানুষ, সেই সাথে আমাদের এলাকার আমের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। দেবহাটা উপজেলা কৃষি অফিসার শওকত ওসমান বলেন দেবহাটা আম এখনো পাকার মতো সময় হয়নি। আগামী মে মাসের ১৫ তারিখ থেকে আম পাকা শুরু হবে। তবে আমরা বিভিন্ন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আম জব্দ করেছি। তিনি আরো বলেন যে কে কখন আম পাড়ছে এটা তো সব সময় আমাদের নজরে আসে না। তাই সমাজের সবার এই ধরনের কাজ কে প্রতিহত করতে হবে