হোম খুলনাসাতক্ষীরা শ্যামনগরে কৃষকদল নেতার দায়ের করা মামলার আসামী বিএনপি নেতাকর্মীরা

শ্যামনগরে কৃষকদল নেতার দায়ের করা মামলার আসামী বিএনপি নেতাকর্মীরা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 11 ভিউজ

সংকল্প ডেস্ক:
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রসহ নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে মামলা হয়েছে। দেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ করতে নৈরাজ্য সৃষ্টিসহ অন্তর্ঘাতমুলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে গত ১৪ মার্চ রাতে শ্যামনগর থানায় উক্ত মামলা হয়।

কাশিমাড়ী ইউনিয়ন কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমানত মোল্যা বাদি হয়ে সে মামলায় ৫১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামীয় ১০০ থেকে ১২৫ জনকে আসামী করে। উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সাবেক এমপি জগলুল হায়দার, সহ-সভাপতি জহুরুল হায়দার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আনিছুজ্জামানসহ আসামীর তালিকায় আ.লীগের ২০/২২ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে।

তবে অভিযোগে উঠেছে উক্ত মামলায় কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড শ্রমিকদল সভাপতি আতিয়ার, ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান, ইউনিয়ন কৃষকদল সভাপতির পিতা বিএনপি কর্মী নজরুল ইসলাম নজু, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও শ্রমিকদল নেতা রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য সচিব আব্দুল গফ্ফারসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্তত ২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুর রশিদের দাবি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজিজুল সরদার, সাবেক সাধারণ সম্প্দাক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ ও আশেক মুন্না ষড়যন্ত্র করে এসব বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামী করেছেন।

তার অভিযোগ বিএনপির ঐ অংশের ঘনিষ্ট হওয়ায় পুর্বেকার কয়েকটি মামলার ন্যায় সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রসহ নাশকতার এ মামলায়ও সদ্য সাবেক এমপি ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলনকে আসামীভুক্ত করা হয়নি।

এদিকে স্থানীয়সুত্রে জানা যায় গত মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজিজুল ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারের অনুসারীদের সাথে বিএনপি কর্মী আক্তার ফারুকের সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। উক্ত সংঘর্ষের স্থানীয় জামায়াতের কিছু কর্মী সমর্থক জড়িয়ে পড়লে তা ত্রিমুখী সংঘর্ষে রুপ নেয়।

সে ঘটনায় বিএনপির বিবাদমান দু’পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে ১৩ মার্চ রাতে জয়নগর এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে বিবাদপক্ষদ্বয় তাদের উপর চাড়ও হওয়ার চেষ্টা করে।

একপর্যায়ে সেখানে থেমে থেমে কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে সর্বত্র আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
কাশিমাড়ী ইউনিয়ন জাসাস নেতা আব্দুস সালামের ভাষ্য আজিজুল সরদার স্থানীয় জামায়াতের পরামর্শে চলছেন।

সম্প্রতি বিএনপির অফিসকে জামায়াত নেতাদের হাতে তুলে দেয়ার পাশাপাশি তার নিকটাত্মীয়রা জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিএনপির স্থানীয় প্রতিপক্ষকে কোনঠাসা করার ষড়যন্ত্রে মেতেছেন তিনি। জামায়াতের পরামর্শে আজিজুল বিএনপির সাবেক শীর্ষ নেতাদের সাথে নিয়ে খোদ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার উঃখাতসহ নাশকতার মামলায় আসামী করেছেন বলেও তার দাবি

এবিষয়ে জানতে চাইলে বাদি আমানত মোল্যা বিএনপির কয়েক নেতার নাম থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, লাঠিশোটা নিয়ে এগিয়ে আসায় তারা আসামী হয়েছে।

আজিজুল সরদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আশেক ইলাহী মুন্না গুরুত্বপুর্ণ একটি মিটিং এ থাকার তথ্য জানান উক্ত মামলা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ জানান তিনি জেলা বিএনপির একটি সভায় রয়েছেন। তবে যে ইউনিয়নের মামলা সেই ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ মামলাটি করেছেন। সেখানে নিজের সম্পৃক্ততা তিনি অস্বীকার করেন।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান কাশিমাড়ী এলাকায় বিস্ফোরণ সংঘটনের ঘটনায় বিএনপি নেতারা একটি মামলা করেছেন। সেখানে কোন বিএনপি নেতাকর্মী রয়েছে কিনা তারা ভাল বলতে পারবেন। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন