নড়াইল অফিস :
নড়াইলের রতডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ জাহিদুর রহমান জাহিদের বিরুদ্ধে অর্থ বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ। বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৪০লক্ষাধিক টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাকরি বঞ্চিতরা দিনের পর দিন জাহিদের কাছে ধর্ণা দিয়ে তাদের টাকা ফেরত না পেয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে, রতডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি জন্য ১৭জন প্রার্থী আবেদন করে। বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহিদ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এদের মধ্যে অন্তত ১১ জনের নিকট থেকে বিভিন্ন অংঙ্কে ৪০ লক্ষাধিক টাকা নেন বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। অথচ এদের কাউকেই চাকরি না দিয়ে প্রচলীত সকল বিধি বিধানকে পাশকাটিয়ে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকার বিনিয়মে দুর্নীতির মাধ্যমে গেল ৩০জুন তৈহিদুজ্জমান নামে এক জনকে ঐ পদে নিয়োগ দেন।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক শ্রেনীর সদস্য হাফিজ কাজী বলেন, সভাপতি জাহিদুর রহমানের দূর্নীতির বিষয় জানতে পেরে এর প্রতিবাদে আমি, আলী মিয়া ও জাফর শেখ কমিটি থেকে পদত্যাদ করেছি। আমরা সভাপতির বিচার ও অপসারণ চাই। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অফিস সহকারি মোঃ মঞ্জুর হোসেন জানান, তার ছেলেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে সভাপতি জাহিদুর রহমান ২লক্ষ টাকা নিলেও তার ছেলের চাকরি হয়নি।
অনেক কষ্টে যোগাড় করে দেয়া টাকাও তিনি ফেরৎ পাচ্ছেন না। রতডাঙ্গা গ্রামের মৃত শফিয়ার রহমানের স্ত্রী পাপিয়া সুলতানার অভিযোগ, মেয়ের চাকরির জন্য ধার দেনা করে সভাপতিকে ৫লক্ষ টাকা দেই। চাকরি দূরে থাক, দুই লক্ষ টাকা ফেরত দিলেও জাহিদ বাকি ৩লক্ষ টাকা দিচ্ছেনা। স্বামীহারা অসহায় পাপিয়া তার অতি কষ্টের টাকা দ্রত ফেরত পাবার আকুতি জানিয়েছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জাহিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, যথারীতি তিনি কোনো টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে, সরকারি নিয়ম মেনে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় বলে দাবি করেন।