হোম বিনোদন নারীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারকারা

নারীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারকারা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 13 ভিউজ

বিনোদন ডেস্ক:
নারীদের অধিকার ও মর্যাদা উদযাপনে শতাধিক বছর ধরে নারী দিবস পালিত হয়ে আসছে। তবে এবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারী দিবস একটু বিষাদ নিয়ে এসেছে। কয়েকমাস ধরে দেশজুড়ে বেড়েছে ধর্ষণ ও নারী উত্ত্যক্তের ঘটনা। অথচ জুলাই আন্দোলনসহ দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে তারা কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু নারীরা এখনো বাইরে নিরাপদ নয়। এবারের নারী দিবসে নারীদের নিয়ে তারকাদের কথাগুলোকে সাজিয়েছেন টুম্পা দেবনাথ।

মনিরা আক্তার মিঠু

নারীদের নিরাপত্তা বাংলাদেশে কোনো কালেই ছিল না। আগেও যেমন নিরাপত্তা শঙ্কায় নারীরা ভুগেছেন, এখনো ভুগছেন। এখন যা হচ্ছে, অতীতেও এ রকম হয়েছে। এর জন্য আমি বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থাকে দায়ী করব। কারণ আমাদের দেশের আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা একেবারেই খারাপ। নারীদের নিরাপত্তা যারা বিঘ্নিত করবে এবং যারা ধর্ষণসহ গুরুতর অপরাধ ঘটাবে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। নারী দিবস উপলক্ষ্যে আমাদের দেশে অনেক সেমিনার হয়। সেখানে বিভিন্ন রকমের আলোচনাও হয়, কিন্তু দিন শেষে আমরা যা দেখছি নারী নির্যাতন বাড়ছে।

অপি করিম

সেদিন ইন্টারনেটে র‍্যানডম সার্চ করতে করতে ছোট্ট একটা ডেটা পেলাম। আপনাদের সাথে শেয়ার করি-ঘরে-বাইরে মিলিয়ে একজন পুরুষ সপ্তাহে কাজ করে প্রায় ৭২ ঘণ্টা। আর একজন নারী প্রায় ১২৮ ঘণ্টা। পার্থক্য প্রায় ৫৬ ঘণ্টার। এটা শেয়ার করলাম কারণ আমি কিছু প্রশ্ন করব, প্রশ্ন করব আপনাকে, আমাকে এবং সোসাইটিকে।

অপু বিশ্বাস

অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে নারীদের জানাই শুভেচ্ছা। প্রতিদিন সকালটা শুরু হয় নারীদের হাত ধরে। ঘুম থেকে উঠেই সন্তান, সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। একজন পুরুষের এগিয়ে যাওয়ার পিছনে একজন নারী থাকেন। আমার জীবনের অনুপ্রেরণা একজন নারী। আমার মেয়ে ভক্ত আমাকে যখন বলে আপনি এগিয়ে যান। তখন এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তি হয়ে দাঁড়ায়। আমার কাছে প্রত্যেকটা দিনই নারী দিবস। সকালে উঠেই প্রত্যেকটা নারীর জীবনে যুদ্ধ শুরু হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই। আর এই এগিয়ে চলার পথটা একাই হাঁটতে হয় নারীকে।

কাজী নওশাবা আহমেদ

আমি ব্যক্তিজীবনে কারো মা, বোন, সন্তান। সেদিক থেকে একজন মানুষ হিসেবে খুব ব্যথিত এবং শঙ্কিত। মাগুরায় যে ঘটনা (শিশু ধর্ষণ) ঘটল, ঝিনাইদহে মাদরাসার এক ছাত্র কমলা খাওয়ায় যে প্রহারের শিকার হলো; এসব শুনে বা দেখে ভালো থাকার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। আমার মেয়েটা ভালো আছে, এখন রমজান চলছে, সামনে ঈদ, এসব ভেবে হয়তো ভালো আছি। কিন্তু আশপাশের পরিস্থিতি দেখে ভালো থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।

সোমনুর মনির কোনাল

নারী দিবস নিয়ে কিছু বল বলতে আমার লজ্জা হচ্ছে। কী বলব? ছোট্ট একটা শিশু ধর্ষিত হলো নিজের বোনের বাড়িতে গিয়ে। একজন মানুষ হিসেবেও কিছু বলার মুখ আছে আমাদের? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনায় এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তা কিংবা মাগুরায় নিজের বোনের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশু; এসব ঘটনা সাধারণ মনে যেমন আতঙ্ক তৈরি করছে, তেমনি শঙ্কিত হচ্ছেন শোবিজের নারীরাও। তার ওপর গত কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন একাধিক অভিনেত্রী। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসব নিয়ে অল্পবিস্তর প্রতিবাদও হয়েছে। তবে এসব ভেবে যখন ‘কেমন আছি’র জবাব দিতে হয়, তখন উত্তর আলাদাই হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন