নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে উচ্ছেদ প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নড়াইল পুরাতন বাজারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কতৃক উচ্ছেদ নেটিশের ভুক্তভোগী জনগণের আয়োজনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম স. ম. শফিউল্লাহ।
লিখিত বক্তব্যে তিনিব লেন, আজ আমরা অত্যন্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। নড়াইল পৌর সভা মহিষখোলা মৌজার দক্ষিণ পার্শ্বে চিত্রা নদী প্লাবাহিত। নদীর চর পড়ে থাকা জায়গা দীর্ঘ ৫০ বৎসরপূর্ব থেকে মহাকুমা প্রশাসক ও পরবর্তী জেলা প্রশাসক অকৃষি খাস জমি হিসাবে বন্দোবস্ত করে আসছে। আমরা নিজ নিজ ইজারাকৃত জমিতে গৃহ নির্মান করিয়া পরিবার পরিজন লইয়া বসবাস করছি। ১৯৯৩ সালে পৌর এলাকার খাস/অকৃষিজমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় আমরা স্থায়ী বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আবেদন করি। অতিব দুঃখ ও হতাশাগ্রন্থ হইয়া আমরা আপনাদেরকে জ্ঞাত করিতেছি যে, উক্ত জমি জেলা প্রশাসক কর্তৃক অকৃষি খাস জমিপর্চা দাগ সৃষ্ট করিয়াপ্লটহিসাবে ইজারা দিয়েছেন এবং কিছুজমি দাতা হিসাবে বিক্রয় করিয়া দিয়েছেন কিন্তু আজ ৫০ বৎসর পর উক্ত জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে আমাদেরকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা করেছেন। আমাদের অত্র জমি ছাড়া অন্য কোথাও কোন ভুমিনাই। আজ ৫০ বৎসর পর জমির শ্রেনী পরির্তন করে আমাদের বিতাড়িত করলে তাহবে আত্মঘাতি বৈষম্যমুলক সিদ্ধান্ত। আমরা কোন অবৈধভাবে নদীর জায়গায় দখল করি নাই। জেলা প্রশাসক আমাদেরকে সরকারী বিধি মোতাবেক অকৃষি ও খাস জমি ইজারা দিয়েছেন। যাতে আমরা আমাদের জীবনের তিলেতিলে অর্জিত অর্থ দিয়ে বাড়িঘর নির্মান করিয়া ৫০ বৎসর যাবত বসবাস করিতেছি। আমাদের কে উচ্ছেদ করিলে আমাদের খোলা রা¯ায় বাগাছের তলায় পরিবার নিয়ে থাকিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও পূজাউদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অশোককুন্ডু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.তবিবর রহমান খান,খন্দকার আলমাসুদ হাসান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মোজাহিদুল রহমান পলাশ, নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন,মো. আফানুর রহমান প্রমুখ। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন,উচ্ছেদের জন্য যাদের নোটিশ করা হয়েছে তাদের কখনও বন্ধবস্ত দেওয়া হয়নি। অবৈধ ভাবেনদী দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য নোটিশ করা হয়েছে।