আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের মাগউই অঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ শহর মিয়াইংয়ে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয় সোনে কোন গ্রামে এই হামলায় আহত হয়েছে বহু মানুষ।
মিয়াইং পিপলস ডিফেন্স টিমের এক সদস্য বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে লোকজন যে স্থানে রান্না করছিল, সেখানে বোমা আঘাত হানলে অনেকে হতাহত হন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, জান্তা বাহিনীর বিমানটি দুটি ৫০০ পাউন্ডের বোমা ফেলেছিল। এতে অনুষ্ঠানের আয়োজনস্থলটি জ্বলন্ত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
জান্তা-গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত স্থানীয় একটি পত্রিকা ‘সম্পদ আহরণ সাইটগুলোতে’ বারবার আসন্ন হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছে। পত্রিকাটি দাবি করেছে, লোভী ব্যবসায়ীরা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণ করছে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পেছনে অর্থায়ন করছে।
সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলতে পত্রিকাটি বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসকে (পিডিএফ) বোঝায়, যারা এখন শান রাজ্য, কাচিন রাজ্য এবং মধ্য মিয়ানমারের কিছু অংশে ধন-রত্ন, জেড, বিরল পৃথিবী উপাদান, সোনার খনি এবং তেলক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করে।
জান্তা সরকার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় খনিতে কর্মরত বেসামরিক নাগরিকদের পালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ইরাবতি জানিয়েছে, এর আগে স্থানীয় খবরে বলা হয়েছিল, ওই বিয়ের বর একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা।
এদিকে, বোমা হামলার পর বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার ওই এলাকার লোকজনকে জমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। কেননা শাসকগোষ্ঠী বারবার বিমান অভিযানে মায়াইংয়ের প্রতিরোধ ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি জান্তা সরকার একটি এমআই-৩৫ হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মায়াইংয়ের পাকোক্কু জেলা পিডিএফ ব্যাটালিয়ন-১৫ এর একটি ঘাঁটিতে দুইবার বোমা হামলা চালায়। গত ৩০ জানুয়ারি ওই অঞ্চলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিমান হামলায় একজন নিহত ও চারজন আহত হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে লেতিয়েতমা গ্রামে ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা নিক্ষেপ করলে ছয় বেসামরিক লোক নিহত হয়।