স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যাচ শেষে লিওনেল মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন রেফারি। পাশাপাশি তিনি ডেকে এনেছেন নিজের বিপদও। একজন রেফারির আচরণবিধির সঙ্গে যে এই কান্ড মানানসই নয়! ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছেন রেফারি। তবে এড়াতে পারেননি শাস্তি।
কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ম্যাচ শেষে মেসির কাছে অটোগ্রাফ চাওয়ায় শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তি পেয়েছেন রেফারি মার্কো আন্তোনিও ওরতিস নাভা। কোন ধরনের শাস্তি তাকে দেওয়া হয়েছে, তা অবশ্য খোলাসা করেনি কনক্যাকাফ।
কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ম্যাচটিতে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মুখোমুখি হয়েছিল ইন্টার মায়ামি ও স্পোর্টিং ক্যানসাস সিটি। তীব্র ঠান্ডায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে মেসির দারুণ গোলে জয় পায় মায়ামি।
শেষ বাঁশি বাজানোর পর মেসির দিকে এগিয়ে যান রেফারি এবং কিছু একটা চাইতে দেখা যায় তাকে। তখন ছড়িয়ে পড়েছিল, আর্জেন্টাইন জাদুকরের জার্সি চেয়েছেন মেসি। তবে পরে নিশ্চিত হওয়া গেছে, রেফারি চেয়েছিলেন অটোগ্রাফ।
যদিও এটির পেছনে একটি মানবিক কারণ আছে, তবে পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে তো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। ইএসপিএনকে বিবৃতিতে এটিই উল্লেখ করেছেন কনক্যাকাফের এক মুখপাত্র।
‘গতকাল (বুধবার) রাতে স্পোর্টিং ক্যানসাস সিটি ও ইন্টার মায়ামির মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ম্যাচ শেষে রেফারি মার্কো আন্তোনিও ওরতিস নাভা ও লিওনেল মেসির ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছে কনক্যাকাফ। তদন্ত করে কনক্যাকাফ জানতে পেরেছে যে, পরিবারের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন একজন সদস্যের জন্য একটি অটোগ্রাফ চেয়ে ফুটবলারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন রেফারি।’
‘ম্যাচ অফিসিয়ালদের জন্য কনফেডারেশনের আচরণবিধি ও এই ধরনের অনুরোধের ক্ষেত্রে বিদ্যমান যে প্রক্রিয়া, সেটির সঙ্গে রেফারির এই আচরণ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। রেফারি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন, ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং কনক্যাকাফের দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন।’
স্পোর্টিং ক্যানসাস সিটি বিবৃতিতে জানায়, ঘটনাটি তারা অবহিত করেছেন মেজার লিগ সকার কর্তৃপক্ষ ও ইন্টার মায়ামি ক্লাবকে।
কনকাক্যাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ওপেনিং রাউন্ড সিরিজের প্রথম লেগের ম্যাচটি আগে থেকেই খবরের শিরোণামে ছিল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে। প্রচণ্ড তুষারপাতের পর আরও তুষারঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে ২৪ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া ম্যাচ। পরদিনও খেলা শুরুর সময় তাপমাত্রা ছিল পাঁচ ডিগ্রি, যা অনুভূত হচ্ছিল মাইনাস পাঁচ ডিগ্রির মতো। ম্যাচের মাঝামাঝি নাগাদ তাপমাত্রা নেমে আসে তিন ডিগ্রিতে, অনুভূত হচ্ছিল তখন মাইনাস আট ডিগ্রির মতো।
ইন্টার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো ম্যাচের পর বলেন, এই ধরনের অমানবিক কন্ডিশন ম্যাচ খেলা প্রায় অসম্ভব।