হোম অন্যান্যসারাদেশ দুর্নীতির রাজা দাকোপের তিলডাংঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান

দুর্নীতির রাজা দাকোপের তিলডাংঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান

কর্তৃক
০ মন্তব্য 401 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:
দাকোপের তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রনজিত মন্ডলের বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, গেল আম্ফান ঘূর্নিঝড়ে দাকোপের অন্যতম বাজার ” বটবুনিয়া বাজার ” প্রচন্ড ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি কিছুটা লাঘবের জন্য মাননীয় এম, পি মহোদয় বাজার বাঁচানোর স্বার্থে ১৪ মেঃটন চাউল বরাদ্দ দেন, যার বিক্রয় মুল্য ২৮০০০০/- টাকা। প্রকল্পটি হলো “আদ্দীন জলের পাম্প থেকে বটবুনিয়া বাজার হয়ে নিশানখালি গেট পর্যন্ত ” মাটির কাজ।

তাছাড়া ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক জি,ও ব্যাগ বাজেট ১১০৮ টি। উক্ত প্রকল্পটি চেয়ারম্যান রনজিত মন্ডল সার্বিকভাবে তদারকি করেন। সরেজমিনে তদন্ত কালে চেয়ারম্যান বলেন,” প্রকল্পের কাজ সঠিক ভাবে শেষ করেছি। পি,আই,ও এবং টি,এন,ও স্যার দেখে গেছে”। অভিযোগ উঠার কারন জানতে চাইলে বলেন, কর্মকর্তারা যখন দেখে গেছে তখন অভিযোগ কিসের? ভাল মন্দ লোক তো থাকবেই”।প্রকল্পের পি,আই,সি মনিকা গোলদার মুঠোফোনে বলেন,” বাজারের ৮০/৯০ হাত কাজ করতে পারিনি কারন সেখানে কাজ করার অনুকূল পরিবেশ ছিলনা তাই। তবে প্রকল্পের কাজের চেয়ে বেশি কাজ করেছি।

তিনি আরও বলেন, বাজার কমিটির কোন লোক আমার কমিটিতে নেই, তড়িঘড়ির কারনে রাখতে পারিনি। এম,পি বরাদ্দ ১৪ মেঃ টন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জি,ও ব্যাগ ১১০৮ টির কথা স্বীকার করে বলেন, কাজের ভিতর ভুলত্রুটি থাকবে যেটা সত্য সেটা লিখবেন “। বাজার কমিটির বেশির ভাগ সদস্যরা বলেন,” বাজার নির্মুল হচ্ছে বলে এ বাজেট অথচ সেখানে কাজ না করে অন্য জায়গায় কাজ করা,এটা কোন সুস্থ্য মানুষের কথা হতে পারেনা। আর পি,আই,ও এবং টি,এন,ও স্যারের কথা বলেছেন, ওনারা দেখে গেল অথচ কোন পদক্ষেপ নেই। প্রকল্পে্ যদি অনিয়ম হয়,তাহলে ওনারা সহযোগিতা করেছেন।

তাছাড়া আমাদের আর কি বলার আছে “। এলাকার অনেকেই বলেন, মাছের ডিপো,দোকান ও ঔষধের ঘর ভাঙ্গনে নদীতে চলে যাচ্ছে। এরপর হয়তো বাজার বিলুপ্ত হবে।সরকার রাজস্ব হারাবে। এলাকার মানুষের বিভিন্ন অসুবিধা সৃষ্টি হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিছু মানুষ বলেন, ” গত বছর এই চেয়ারম্যান চাল চুরির কেসে জেল খেটেছে। কোন প্রকল্পই সঠিকভাবে করে না। সরকার নির্ধারিত চাল কম করে জনগনকে দেয়। স্বজন প্রীতির মাধ্যমে ভি,জি,ডি কার্ড,রেশন কার্ড ও ভাতা কার্ড প্রদান করে।

কর্মকর্তারা এটা জেনে ও কোন পদক্ষেপ নেয় না। আসলে চোরে চোরে মাস্তাত ভাই ছাড়া আর কি বলবো। বাজার কমিটির কোন সদস্যকে প্রকল্পের কমিটিতে রাখেনি কারন কাজ না করে অর্থ আত্মসাত করা যাবে না তাই। আমরা নিরিহ ও গরিব এলাকাবাসি।

এ দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান কিভাবে দূর্নীতি করে টিকে থাকে সেটা আমাদের ভাবিয়ে তোলে।তাই এমন দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের খোঁটার জোর কোথায় জানতে চেয়ে মাননীয় এম, পি সহ সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুনজরে তুলে ধরার বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন