হোম খুলনাযশোর কেশবপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলুর বিরুদ্ধে ১৭ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ 

কেশবপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলুর বিরুদ্ধে ১৭ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ 

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 23 ভিউজ
স্টাফ রিপোর্টার:
কেশবপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ লাভলুর বিরুদ্ধে পাঁজিয়া বাজারের মাছের আড়ত ব্যবসায়ী ওজিয়ার বিশ্বাস আওয়ামীলীগ আমলে জোর পুর্বক ১৭ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পাঁজিয়া বাজারের আল্লার দান মৎস্য ডিপোর মালিক মাদারডাঙ্গা গ্রামের মৃত দ্বীনমোহাম্মদ বিশ্বাসের ছেলে ওজিয়ার বিশ্বাস অভিযোগে উল্লেখ করেছেন যে, তার মাছের আড়তে এলাকার বিভিন্ন মাছের ঘের মালিকরা মাছ বিক্রি করেন। সে অনুযায়ী  পাঁজিয়া ইউনিয়নের হদ গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সরদারের ছেলে কেশবপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ লাভলু ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে তাকে লোক দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং বলে সে নাকি ঘের মালিক ডাক্তার নজরুলের নিকট ৩০ লাখ টাকা পাবে, এ টাকা আগামী ১৫ দিনের ভিতর দেয়ার জন্য সাদা স্ট্যাম্পে অস্ত্রের মুখে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।আমি হুমকির মুখে পড়ে যায়, ততক্ষণে ঘের মালিক ডাক্তার নজরুল পালিয়ে যায় তাদের ভয়ে। অগ্যতা তার নামীয় সাতাইশকাঠি এলাকার জমি বিক্রয় করে মাদারডাঙ্গা গ্রামের বিকাশ পালের নিকট।  এর থেকে প্রথমে ৫ লাখ টাকা, মাদারডাঙ্গা গ্রামের শরিফুলের নিকট জমি বিক্রির ৪ লাখ টাকা ও একটি ২ টনের পিক আপ বিক্রির ৮ লাখ টাকা সর্বমোট ১৭ লাখ টাকা জোর পুর্বক  চাঁদাবাজি করে। তৎকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের প্রভাব থাকায় তিনি মুখ খুলেন নি যেহেতু তিনি বিএনপি পরিবার সদস্য।  নীরবে তিনি এ টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন।  ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর মুক্ত বাতাসে তিনি তার উপর চাঁদাবাজির ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে আবু সাঈদ লাভলুর ০১৭১০৭০৭১৭২  মোবাইল নাম্বারে কল দিলেও সেট বন্ধ থাকায় বক্তব্য প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন  অভিযোগ পেয়েছেন এবং  তদন্ত পুর্বক আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন