হোম অর্থ ও বাণিজ্য জুন মাসের দিকে মূল্যস্ফীতি স্বস্তিতে আসবে, আশা অর্থ উপদেষ্টার

জুন মাসের দিকে মূল্যস্ফীতি স্বস্তিতে আসবে, আশা অর্থ উপদেষ্টার

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 11 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
আমাদের মূল্যস্ফীতির দিকে মূল মনোযোগ আছে, যতটুকু সম্ভব, যত তাড়াতাড়ি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি। এখন আমরা যে উদ্যোগটা নেবো সেটার প্রভাব বাজারে দেখতে পারবেন। আশা করছি, জুন মাসের দিকে মূল্যস্ফীতিতে একটা আইডল, ৬/৭ শতাংশে যেতে পারি। তাহলে আমাদের জন্য বেটার হয়।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মূল্যস্ফীতি নিয়ে আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও রোজার সময় একটা ক্রাইসিস থাকে। আর এ সময়ের জন্য বড় ধরনের একটা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, সেটার ফল এপ্রিল-মে’র দিকে গিয়ে পড়বে। এ জন্য এপ্রিল, মে পর্যন্ত কোনও নিত্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতি হতে দেবো না। সে জন্য আজ চাল, ডাল, সারসহ অত্যাবশকীয় কতগুলো পণ্যের আমদানির অনুমোদন দিয়েছি।

ভ্যাট নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কিছু কিছু বিষয়ে ভ্যাট ইস্যুর জন্য দাম বেড়েছে, যেমন বিস্কুট। যাই হোক এসব বিষয় নিয়ে আমরা পরশু দিন (বৃহস্পতিবার) ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসবো। মার্চের দিকে বাজেট পুনর্মূল্যায়ন করবো। সেখানে নির্দিষ্ট কিছু অ্যাকশন দেখবেন। বিশেষ করে অর্থনৈতিক খাতে। মেইন উদ্দেশ্য ভ্যাটের। দিনের পর দিন ছাড় দেওয়া হয়েছে। এগুলো আর উৎসাহ দেবো না। এর মধ্যে হয়তো দুই একটা পণ্যে প্রভাব পড়েছে। এতে লোকজনের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে, সেটা লাঘব করার চেষ্টা করবো। আয়করের বিষয় আছে, সেটা দেখবো। যাতে অন্য ট্যাক্স তাদের কম হয়।

তিনি বলেন, আমরা ক্রয় কমিটিতে চাল, মসুর ডাল ক্রয়ে অনুমোদন অনবরত দিয়ে যাচ্ছি। এতে কিন্তু আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জে বিরাট একটা চাপ রয়েছে, তারপরও দিচ্ছি।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের যে পরিমাণ অর্থের ব্যয় হচ্ছে এতে কতটা চাপ পড়ছে বাইরে থেকে জানার কথা না। সেটা ব্যাংকার ও আমি জানি। তবে কোনও খারাপ অবস্থা না। যদি আমরা কাউন্টার ইস্যুগুলো না নেই তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা একটা অকল্পনীয় অবস্থায় চলে যেতো। কারণ কোথাও কোনও অর্থ নাই। সব ব্যাংক থেকে অর্থ নিয়ে গেছে। বিশ্বের কোনও দেশে এমন হয়েছে বলে আমার জানা নেই। ব্যাংকের ডিপোজিটের টাকাসহ চলে গেছে। টাকা তো নেই ব্যাংকের কাছে। সেই টাকাগুলো আমরা দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি, কীভাবে বিশেষ ফান্ড করে দেওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, গতকাল আমি সারাদিন ব্যাংকারদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কীভাবে ট্রেড ফ্লো বাড়ানো যায় বেসরকারি খাতে, কীভাবে আরও সাশ্রয়ী করা যায় ব্যবসায়। আমরা চেষ্টা করছি ব্যবসাটা রান করার।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন