সংকল্প ডেস্ক:
ভাইকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার সাক্ষী হওয়ায় বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের পলগাদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম ওই গৃহবধুকে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।জখম হওয়া গৃহবধুর নাম নূরজাহান (৩০)। তিনি পলগাদা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
পলগাদা গ্রামের আবুল খায়ের জানান, একই এলাকার ঘুরনচন্ডি খাল ও দাড়ার খালের নেটপাটা অপসারনে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে দেবহাটা উপজেলা প্রশসন অভিযান চালায়। অভিযানের আগে খালে নেটপাটা দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পরদিন সকালে ঘেরের বাসা থেকে ফেরার সময় তার ভাই হারুন অর রশিদকে পিটিয়ে জখম করে তাদের গ্রামের ই্উসুফ সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও শফিকুলের তিন ছেলে সেলিম, ওমর ফারুখ ও মোহাম্মদ আলী। এ ঘটনায় ১০ ডিসেম্বর আদালতে শফিকুলসহ তার তিন ছেলের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করে তার ভাই হারুন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। বিষয়টি জানতে পেরে শফিকুল ও তার পরিবারের লোকজন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভাই হারুনকে ও সাক্ষী না দেওয়ার জন্য তাকে (খায়ের) হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। মামলা তুলতে ও সাক্ষী না দেওয়ার জন্য অপারগতা প্রকাশ করায় বুধবার সকাল ৯টার দিকে শফিকুল, তার তিন ছেলে, আবু বক্কর, ওসমান ও ডালিমসহ কয়েকজন সশস্ত্র অবস্থায় তাদের বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী নূরজাহানকে কুপিয়ে জখমস করে। খবর পেয়ে তিনি ও তার স্বজনরা নূরজাহানকে উদ্ধার করে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।