হোম আন্তর্জাতিক কলকাতায় বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপিত

কলকাতায় বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপিত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 18 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সাম্প্রতিক ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি কলকাতায় বাংলাদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পালনে। কলকাতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে ছিল নানা অনুষ্ঠান।

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের স্থল-সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী এবং বিমান-বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় শাখার শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বিজয় দিবসের দিন বিশেষ অতিথি হয়ে ফোর্ট উইলিয়ামে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিজন মিলিয়ে ১৭ জনের এক প্রতিনিধি দল। তবে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের কাউকে দেখা যায়নি অনুষ্ঠানে।

আশঙ্কা ছিল ফোর্ট উইলিয়ামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ছাড়াই বিজয় দিবস পালিত হতে পারে। আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ৫৩ তম মহান বিজয় দিবস পালন করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা।

সকালে ফোর্ট উইলিয়ামের মূল ফটকের কাছে অবস্থিত বিজয় স্মারক স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারতের সাবেক স্থল-সেনাপ্রধান জেনারেল শংকর রায় চৌধুরী, স্থল-সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচন্দ্র তিওয়ারি এবং দেশটির তিন বাহিনীর কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম চৌধুরী এনডিসি (অব.) এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুর রহমান।

পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ড. সি ভি আনন্দ বোস। এরপর একটি ফটোসেশনে অংশ নেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।

পরে ভারতীয় গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বিপি (অব.) বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে দরিদ্রতা। আমাদের দুই দেশকেই একত্রিত হয়ে সেই দরিদ্রতা দূর করতে হবে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো না থাকলে, ভালোবাসা না থাকলে দু-দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সে দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আলী সাজ্জাদ বলেন, হিন্দুরা বাংলাদেশের নাগরিক। সেখানে কোথাও লেখা নেই যে ধর্মের ভিত্তিতে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এটা অবস্থানের ভিত্তিতে হচ্ছে। হিন্দুরা আমাদের ভাই, তারা বাংলাদেশেই থাকবে। বর্তমান ঘটনাটি কিছু সময়ের জন্য হয়েছে। আমি মনে করি- আগামী দিনে সম্পর্ক আরও ভালো হবে। এই অবস্থার পরিবর্তন হবে এবং আমরা সঠিকভাবে সামনের দিকে এগোতে পারবো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন