লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ত্বকের পরিচর্যার প্রথম ধাপটি হল ক্লিনজিং। আর ত্বক পরিষ্কারের কাজে দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ফেসওয়াশ ব্যবহারে ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও অপসারণ হয়ে যায়। এতে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। ক্লিনজার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বজায় রেখেই মুখ পরিষ্কার করে দেয়। সেনসিটিভ, শুষ্ক ও ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো।
ক্লিনজার
নামেই স্পষ্ট জিনিসটির কাজ, মুখ এবং ত্বক পরিষ্কার করা। ফাউন্ডেশন, পাউডারের পরত, আই লাইনার, মাস্কারা হোক বা লিপস্টিক— পানির ঝাপটায় বা ফেস ওয়াশ দিয়ে ভালো ভাবে পরিষ্কার হয় না। বিশেষত ঠোঁটে লেগে থাকা লিপস্টিক, চোখের কোনে লেগে থাকা কাজল। তখনই প্রয়োজন হয় ক্লিনজারের। মুখে ক্লিনজার লাগিয়ে তুলার সাহায্যে হালকা ঘষলেই ধীরে ধীরে ত্বকের উপরি স্তরের ধুলো-ময়লা এবং মেকআপ উঠে আসে। অনেকে আবার মেকআপ শুরুর আগেই ক্লিনজার ব্যবহার করেন। তার কারণও আছে। রূপটান বিশেষজ্ঞেরা বলেন, মুখ হল ক্যানভাস। মেকআপ শুরুর আগে তার প্রস্তুতি প্রয়োজন। সেই প্রস্তুতির প্রথম ধাপই হল ত্বক পরিষ্কার করে নেয়া।
ত্বক অনুযায়ী বাছুন
ক্লিনজার হিসেবে ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার করা হয়। তবে, শুষ্ক, তৈলাক্ত , ব্রণ যুক্ত ত্বকের জন্য আলাদা ফর্মুলার বিভিন্ন রকম ক্লিনজার হয়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার বাছাই করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সুবিধা
রাস্তাঘাটে মুখ পরিষ্কারের দরকার হলে, হাতের কাছে পানি না থাকলে ক্লিনজিং মিল্ক বা কোনও ফেশিয়াল ক্লিনজার ব্যবহার করা সহজ হয়। পাশাপাশি ত্বক শুষ্ক হলে ক্লিনজিং মিল্ক বিশেষ উপযোগী হয়। এটির ব্যবহারে ত্বক চট করে শুষ্ক হয় না।
ফেসওয়াশ
এটিও এক ধরনের ক্লিনজার। সাবানের চেয়ে মৃদু, ত্বকের ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করতে সহায়ক। মুখ পানিতে ভিজিয়ে ফেসওয়াশ দিয়ে হালকা হাতে মালিশ করতে হয়। ক্লিনজারের চেয়ে ফেসওয়াশ ত্বকে জমে যাওয়া ধুলো-ময়লা, তেল এটি আরও ভালো ভাবে পরিষ্কার করতে পারে।
সুবিধা
১. যে কোনও ত্বকের জন্যই আলাদা আলাদা ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। তবে ত্বক তৈলাক্ত হলে ক্লিনজারের তুলনায় ফেসওয়াশ বিশেষ কার্যকর হয়। কারণ এটি ত্বকে জমে থাকা ময়লা, তেল, ক্লিনজারের চেয়ে বেশি ভালো করে পরিষ্কার করে। তেল জমে থাকলেই ব্রণ এবং সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
২. সারাদিন ঘোরাঘুরির পর ঘেমে যাওয়া চোখ-মুখ পরিষ্কারের জন্য ফেসওয়াশ ভালো। প্রথমত পানির ঝাপটায় শরীর তরতাজা লাগে। দ্বিতীয়ত, ধুলো-ময়লাও এতে ভালো ভাবে পরিষ্কার হয়।
তাহলে কে, কোনটি ব্যবহার করবেন?
বাইরে বেরোতে হলে একটুআধটু মেকআপ সকলেই করে থাকেন। অনুষ্ঠানে যেতে হলে মেকআপের পরত আরও পুরু হয়। তারই অঙ্গ হিসেবে জুড়ে যায় কাজল, আইলাইনার, মাস্কারা, আইশ্যাডো, লিপস্টিক ব্লাশ। এগুলো পরিষ্কারের জন্য ক্লিনজার ভালো। তাই প্রথম ধাপে ক্লিনজার দিয়ে কাজল, ফাউন্ডেশন, লিপস্টিকের পরত তুলে তারপর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। এতে ত্বক ভালো ভাবে পরিষ্কার হয়। পর পর দুটি ধাপকে বলা হয় ‘ডাবল ক্লিনজিং’। নিয়মিত মেকআপ করার প্রয়োজন হলে, ত্বক ভালো রাখতে ‘ডাবল ক্লিনজিং’ বেশ জরুরি।