কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার লক্ষ শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়িসহ একটি ভ্যানগাড়ি জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে কুষ্টিয়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ভেড়ামারা সার্কেল-২ এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ভ্যান চালককে আটক করা হয়েছে।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে নকল আকিজ বিড়ি ও কমদামী অবৈধ বিড়ি উৎপাদন করে আসছে। উৎপাদিত এসব নকল বিড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য সরবরাহ করে থাকে চক্রটি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বেলা ১২ টার দিকে কুষ্টিয়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ভেড়ামারা সার্কেল-২ এর এআরও মোঃ লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে কাস্টমসের একটি চৌকস টিম দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার মেইন রোডে অভিযান ও তল্লাশি চালায়।
এসময় একটি ভ্যানগাড়ি থেকে তেরো বস্তায় চার লক্ষ দশ হাজার (৪,০০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভ্যানগাড়িসহ চালককে আটক করা হয়েছে।
আটক ভ্যানগাড়ি চালক জানান, এই বিড়িগুলো দৌলতপুর উপজেলার বেরাগীর চর এলাকার হাবিল মোল্লার। তিনি প্রতিনিয়ত নকল বিড়ি তৈরি করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকেন।
অভিযান শেষে জব্দকৃত নকল আকিজ বিড়ি ও ভ্যানগাড়ি কাষ্টমস হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এআরও লুৎফর রহমান জানান, অভিযানে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া নকল আকিজ বিড়িসহ একটি ভ্যানগাড়ি জব্দ করা হয়েছে। ভ্যান চালককেও আটক করা হয়েছে। তবে ভেড়ামারা কাস্টমস অফিসে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় জব্দকৃত বিড়িগুলো কুষ্টিয়া বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যলয়ে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরো জানান, নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি উৎপাদন, বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।