হোম জাতীয় কয়েকজন মিলে ধরে কিশোরকে পুলিশের গুলি, মামলা সাংবাদিকদের নামে!

কয়েকজন মিলে ধরে কিশোরকে পুলিশের গুলি, মামলা সাংবাদিকদের নামে!

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 26 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন বিকেলেও নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করে পুলিশ। এদের মধ্যে অনেকের মরদেহের হদিস মিলছে না। এই যেমন গাজীপুরের কোনাবাড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত হৃদয়ের মরদেহ কোথায় জানা নেই কারো। মরদেহের হদিস না মিললেও স্থানীয় সাংবাদিকদের নামে মামলা নিয়ে বসে আছে পুলিশ। সব মিলিয়ে হযবরল অবস্থা।

গত ৫ আগস্ট বিকেলে গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানার পাশেই ঘটে এই ঘটনা। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিশ সদস্য একটি ছেলেকে ধরে রেখেছেন। পেছন থেকে আরেক পুলিশ সদস্য ছেলেটির শরীরে শটগান ঠেকিয়ে গুলি করে দেয়। সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞাত এই কিশোর।

আরেকটি ফুটেজে দেখা যায়, গুলি করার কিছুক্ষণ পর চার পুলিশ সদস্য ছেলেটির চার হাত-পা ধরে থানার দিকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত এই কিশোরের হদিস মেলেনি। মরদেহ কোথায় তাও জানে না কেউ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ছেলেটিকে গুলি করে হত্যার পর বস্তায় ভরে মরদেহ থানার ভেরতে নিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা।

ভিডিও ফুটেজ দেখে ইব্রাহিম নামের এক যুবক নিশ্চিত করে বলেন, নিহত কিশোর তার স্ত্রীর ছোট ভাই হৃদয়। বাড়ি টাঙ্গাইল হলেও পড়ালেখার খরচ ও সংসারের হাল ধরতে কোনাবাড়িতে অটোরিকশা চালাতো।

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় হৃদয়ের পরিবার। স্তব্ধ বাবা। কান্না থামছে না মা বোনের। হত্যাকাণ্ডের বিচার পাশাপাশি মরদেহের সন্ধান চায় পরিবার।

স্থানীয়রা বলছেন, হৃদয়ের মরদেহসহ আরও কয়েকটি মরদেহ ওই দিন রাতে গুম করেছে কোনাবাড়ি থানা পুলিশ।

মরদেহের হদিস না পাওয়া গেলেও ওই ঘটনায় কোনাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। যেখানে আসামি করা হয়েছে স্থানীয় ৫ সাংবাদিকসহ কয়েকজনকে।

মামলার বাদীর দাবি, নিজেদের দায় এড়াতে পুলিশ ইচ্ছা মত নাম দিয়ে মামলা রুজু করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন