হোম জাতীয় ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলে আখাউড়া নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ

ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলে আখাউড়া নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 21 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের সবজি ক্ষেত, ফসলি জমি, পুকুরসহ এলাকার রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর। এদিকে অতিবৃষ্টি ও ওপারের পাহাড়ি ঢলের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কার্যালয়, কাস্টমস ও বন্দর এলাকায়।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রশাসন সূত্র জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে ভারী বর্ষণ ও ত্রিপুরার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।

বন্যার কারণে ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। ওপারের পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার সীমান্তবর্তী চারটি ইউনিয়নের মধ্যে মোগড়া, মনিয়ন্দ ও দক্ষিণ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এ সড়কের গাজিরবাজার এলাকার জাজি নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রীজের বন্দরগামী বিকল্প সড়ক সংযোগ বিছিন্ন হয়ে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রফতানিকারক বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে।

বন্যায় বাউতলা,উমেদপুর, ছয়ঘরিয়া, দরুইন, বচিয়ারা, নুনাসার, নোয়াপাড়া, নিলাখাত, টানুয়াপাড়া, ধাতুর পহেলা, চরনারায়নপুর, আদমপুর, আওরারচর ও বঙ্গেরচরসহ ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার মনিয়ন্দ এবং ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা, চন্দ্রপুর, ধরখার গ্রাম, ভিনাউটি, ভবানীপুর, রুটি, খারকুট, মিনারকুট, কুড়িবিল, পদ্মবিল, টনকি, ইটনা, কর্নেল বাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও তলিয়ে গেছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রূহি যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। বন্যা দুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য তুলনামূলক উঁচু বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আকস্মিক এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ খবর নিতেও শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন