হোম জাতীয় নির্বাচন কর্মকর্তার আয়বহির্ভূত সম্পদ খতিয়ে দেখছে কমিশন

নির্বাচন কর্মকর্তার আয়বহির্ভূত সম্পদ খতিয়ে দেখছে কমিশন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 21 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে উঠা এসব দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। আর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে।

লিখিত অভিযোগ ও নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নানের আগে দীর্ঘদিন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সেখানে চাকুরিরত অবস্থায় জন্ম পরিচয় সনদ সংশোধন, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত, স্থানান্তর করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অবৈধভাবে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেন। এছাড়া তার পারিবারিক অবস্থা ভাল না থাকা সত্ত্বেও বরিশাল শহরে বাড়ি করেছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে গাড়ি কিনেছেন। অন্যদিকে তার সঙ্গে সচিব এবং নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে গত ৯ জুলাই বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকার জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদের হিসেব নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্বাচন কমিশনের সচিবের কাছে একটি আবেদন জানায়। তার আবেদনের ভিত্তিতে গত ২৯ জুলাই নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব সি.সি (শৃঙ্খলা) মোহাম্মদ আল-মামুনের স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্ত অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।

তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগের কপিটি দেখেছি। এগুলো সব মিথ্যা এবং বানোয়াট। কারো সাজানো নাটক। আমার চাকরি জীবনে কোনদিন এক টাকা ঘুষ খাইনি। তাছাড়া আমার গাড়ি, বাড়ি কিংবা নগদ টাকাও নেই।

জানতে চাইলে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি হাতে পেয়েছি। আমরা দ্রুতই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করবো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন