হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ :
কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের হাসিনা সরকারের পতনের সুযোগে দোকানপাট, অফিস, বাড়িঘর, ভাঙচুর দখলবাজ লুটেরাদের কোন দল নাই। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যা যা করণীয় সেটা বর্তমান সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেনা, নৌ, বিজিবি, পুলিশ সেটা করবে। এ বিষয়ে উপজেলার সকল শ্রেণী, পেশা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার প্রধানের নির্দেশে কালিগঞ্জ থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে। তা না হলে সাধারণ মানুষের দুঃখ, দুর্দশা, ভোগান্তির লাঘব হবে না। এদেশে কেউ সংখ্যালঘু বলে আমরা মনে করি না আমরা সবাই এদেশের নাগরিক ভাই ভাই সবাই বাংলাদেশী এটাই আমাদের একমাত্র পরিচয়। কোন হিন্দু বা নিম্ন বর্ণের গুষ্টির বাড়িতে, দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, মারপিটের শিকার হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে যে কারণে আমরা বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকা কঠোর নজরদারিতে রেখেছি। যাতে করে বাংলাদেশ ছেড়ে কেউ পালাতে না পারে। কালিগঞ্জ থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু না হওয়া পর্যন্ত সেনা, বিজিবি, কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সার্বক্ষণিক পাহারা ও দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে । পাশাপাশি কোটা আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দলের ব্যক্তিরা সহযোগিতা করবে। গত ৫ আগস্টের পর হতে কোন হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট দখল হয়ে থাকলে সে গুলোকে আইনির আওতায় অচিরেই আনা হবে। কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বাড়িতে হামলা, মারপিট ভাঙচুরের শিকার হলে সাথে সাথে নিকটস্থ সেনা, বিজিবি ক্যাম্পে জানাবে।
শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা আনুমানিক ১২ টার সময় কালিগঞ্জ থানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, সুধী এবং বিভিন্ন পেশাজীবী দের সঙ্গে দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় ১৭ বডার গার্ড ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সানভির হাসান মজুমদার প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এই সময় অন্যান্যদের মধ্যে কালিগঞ্জ থানা জাতীয়তাবাদী দলের আহবায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে বিষয়টি আমরা জানতে পেরে সাথে সাথে থানা রক্ষা করা সহ সব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটবে না বলে আশ্বাস দেন। কোটা আন্দোলনের কালিগঞ্জ উপজেলার ছাত্র সমন্বয়কের আহবায়ক রাকিব হাসান, জি এম রিয়াজ, মারুফ হাসান তাদের বক্তব্যে বলেন গত ৫ আগস্ট এর সহিংসতার সময় তারা এসে ছাত্রদের নিয়ে থানা ভাঙচুরের হাত থেকে রক্ষা করেন। এরপর তারা বিভিন্ন স্থানে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুরের কাজ বন্ধ করতে নিরন্তর ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বর্তমানে নাম না প্রকাশ করার শর্তে কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি, নেতা তাদেরকে হুমকি দিয়ে কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে সেনা, কর্মকর্তা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ থানা যুবদলের সভাপতি ডাঃ শফিকুল ইসলাম, চাম্পাফুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, কালিগঞ্জ থানা যুবদলের সহ-সভাপতি প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুধী, সাংবাদিক, পুলিশ, কর্মকর্তা ও বিজেপি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।