হোম খুলনাযশোর মনিরামপুরে বাড়িতে ডাকাতি: গ্রামবাসীর ধাওয়ায় ডাকাতদলের বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি, আহত ২

মনিরামপুরে বাড়িতে ডাকাতি: গ্রামবাসীর ধাওয়ায় ডাকাতদলের বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি, আহত ২

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 30 ভিউজ

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

যশোরের মনিরামপুরের এক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গার খানপুর গ্রামে সাজ্জাদ মোড়লের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসম গ্রামবাসী টের পেয়ে এগিয়ে আসলে সশস্ত্র ডাকাত দল তিনটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এতে দুইজন আহত হয়। এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার ও থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ডাকাতির শিকার সাজ্জাদ মোড়লের ছেলে মেহেদী হাসান জুয়েল জানান, সোমবার রাতে খাবার খেয়ে পরিবারের চার জন সদস্যই ঘুমিয়ে পড়ে। ঘটনার দিন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাদের বাড়ির দরজার ঢাসা (খিল) শাবল দিয়ে খুলে মুখোশধারী চার ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। এসময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে ও পিতা সাজ্জাদ মোড়ল সহ পরিবারের চার সদস্য কে একটি ঘরে আটকে রাখে। তাকে (জুয়েল) ও তার পিতাকে বেঁধে রেখে ঘরের ড্রয়ার থেকে স্বার্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে করে নেয়। এর মধ্যে তার পিতা সাজ্জাদ মোড়ল ডাকাত দলের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘরের বাইরে এসে ডাকাত ডাকত বলে চিৎকার দেয়। সাজ্জাদ মোড়লের আত্মচিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে আসলে তাদের লক্ষ্য করে ডাকাত দল পর পর তিনটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ওই গ্রামের করিম মোড়লের ছেলে মিলন হোসেন ও আশরাফ হোসেনের ছেলে মাহাবুবুর রহমান আহত হয়। তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ডাকাত দল গ্রামবাসীর ধাওয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি বোমা বিস্ফোরণ সহ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় বিস্ফোরিত বোমায় দুইজন আহত হয়। সাজ্জাদের মেঝ ভাই কুয়াদা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াজেদ আলী জানান, ডাকাত দল সাজ্জাদের পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৭৬ হাজার টাকা ও তিন ভরি স্বার্ণলংকার লুট করে নেয়। এদিকে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার গাজী দাউদ হোসেন ও মনিরামপুর থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ সহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান।

এব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার গাজী দাউদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা জানিয়ে বলেন, ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় জড়িতদের কেউ আটক থাকতে পারে তবে বিষয়টি ওসি ভালো বলতে পারবেন। জানতে চাইলে আটকের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মেহদী মাসুদ ঘটনাটি দস্যুতা বলে দাবী করে জানান, এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানায় মামলা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন