হোম জাতীয় বিরক্ত হয়ে কোটা বাতিল করেছিলাম: প্রধানমন্ত্রী

বিরক্ত হয়ে কোটা বাতিল করেছিলাম: প্রধানমন্ত্রী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 41 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিরক্ত হয়ে ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৪টার পর গণভবনে চীন সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।

কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অফিসে আক্রমণ, মানুষের ওপর আঘাত, কিছু জ্ঞানীগুণী আছেন যারা ঘরের মধ্যে বসে মিথ্যা অপপ্রচার রেকর্ড করে ছেড়ে দিচ্ছেন—এসব দেখে আমি খুব বিরক্ত হয়ে যাই। তখন একপর্যায়ে বলি কোটা বাদ দিলাম।’

তিনি বলেন, ‘উদ্দেশ্য ছিল—আগে দ্যাখ কোটা বাদ দিলে অবস্থাটা কী হয়। এখনও কী অবস্থা হয়েছে সেটা দেখতে বেশিদূর যাওয়া লাগবে না। এবার ফরেন সার্ভিসে মাত্র দুজন মেয়ে চাকরি পেয়েছে। আর পুলিশ সার্ভিসে চান্স পেয়েছে চার জন।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো কোনো এলাকায় অনগ্রসর সম্প্রদায়ও আছে। সেসব এলাকার মানুষের কি কোনো অধিকার থাকবে না। কোটা বন্ধ করে দেয়ার পর ২৩টি জেলা থেকে একজনও পুলিশে চাকরি পাননি।’

আদালত যখন রায় দেন তখন সরকারের নির্বাহী বিভাগের কিছুই করার থাকে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোটার ব্যাপারে এখন সরকারের কিছু করার সুযোগ নেই। কারণ আদালতের বিষয় আদালতেই সমাধান করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন তারা আইন মানবেন না, আদালত মানবেন না, সংবিধান কী তারা চিনবেন না, সরকার কীভাবে চলে সে সম্পর্কে তাদের ধারণা নেই জ্ঞান নেই। আদালত তাদের বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ দিয়েছেন। তারা আদালতে গিয়ে তাদের কথা বলুক।’

কোটা নিয়ে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা রাজপথেই সমাধান চান। সত্যি কথা বলতে কি, আদালতে রায়ের পর তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কোনো অধিকার আমার নেই। এ ব্যাপারে সংবিধান কিছু বলে না; সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিও কিছু বলে না। যতক্ষণ-না আদালত থেকে সমাধান আসবে, ততক্ষণ আমাদের কিছু করার থাকে না। এই বাস্তবতা তাদের মানতে হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন