হোম অন্যান্যসারাদেশ শহরের জজকোর্টের সামনে ভুয়া হোমিও ডাক্তার জাকারিয়ার প্রতারণা শিকার শত শত রোগী

শহরের জজকোর্টের সামনে ভুয়া হোমিও ডাক্তার জাকারিয়ার প্রতারণা শিকার শত শত রোগী

কর্তৃক
০ মন্তব্য 126 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা শহরের জনবহুল এলাকা জজকোর্টের সামনে জাল সনদ ব্যবহার করে এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রোগীদের প্রতারণা করে যাচ্ছে প্রশাসনের নাগের ডগায় বসে। ‘ইবনে সিনা হোমিও কমপ্লেক্স, ডাঃ মোঃ জাকারিয়া, (এল.এইচ.এম.পি), যৌন, চর্ম, হাঁপানী রোগে অভিজ্ঞ’, পলাশপোল, সাতক্ষীরা।

অভিযোগে জানা গেছে, শহরের কালিগঞ্জ-সাতক্ষীরা সড়কের জনবহুল এলাকা জজকোর্ট তথা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনেই সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দীর্ঘদিন জাল সনদ ব্যবহার করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ডাঃ মোঃ জাকারিয়া রোগীদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। ‘ইবনে সিনা হোমিও কমপ্লেক্স, ডাঃ মোঃ জাকারিয়া, (এল.এইচ.এম.পি), যৌন, চর্ম, হাঁপানী রোগে অভিজ্ঞ’, পলাশপোল, সাতক্ষীরা। ডাঃ জাকারিয়ার দৌড় কতদূর জানা যায়নি। তবে তিনি বিশাল বিশেষজ্ঞ সেজে শতশত মানুষকে প্রতিদিন ধোকা দিয়ে হাজার হাজার টাকা লুট করছেন। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হয়ে।

ভুক্তভোগী কয়েকজন রোগী জানান, ডাঃ মোঃ জাকারিয়া নিজেকে বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডিগ্রীধারী চিকিৎসক হিসেবে ঘরভাড়া নিয়ে সেখানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেন। কিন্তু ওই রোগীরা তার নিকট থেকে ওষুধ নিয়ে ব্যবহার করার পর অনেকে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে তারা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছেন ডাঃ মোঃ জাকারিয়া আসলে কোন ডিগ্রীধারী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নন। তার কোন সনদ নেই। তিনি আসলে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন।

বিষয়টি নিয়ে ডাঃ মোঃ জাকারিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, তিনি আসলে পাশ করা কোনো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক নন। তিনি খুলনার বয়রা এলাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে দুই মাসের একটি কোর্স করেছেন। তার কাছে খুলনা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি খুলনা শহরের ময়লাপোতায় অবস্থিত খুলনা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল চেনেন না। তিনি প্রচলিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ‘ডিএইচএমএস’ কোর্স না করে মাত্র দুই মাসের কোর্স করে হাতুড়ে ডাক্তারি চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমিও চিন্তিত। আগে ‘ডিএইচএমএস’ কোর্স আমার জানা ছিল না। সামনের বছরে ভর্তি হবো। এ সময় সনদ ছাড়া কিভাবে আপনি ডাক্তারি করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেটা এখানে পড়ালেখা করে। দ্রæত সাতক্ষীরা থেকে চলে যাবো। চলেন একটু ঠান্ডা খাই, আপনারা আমার বড়ভাই, বিষয়টি একটু দেখবেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে কেউ ‘ডিএইচএমএস’ কোর্স পাশ না করে সনদবিহীন অবস্থায় কেউ রোগীকে চিকিৎসা দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং সদন ছাড়া চিকিৎসাসেবা দেওয়া আইনগত অবৈধ ও আইন অনুযায়ী দন্ডনীয়। ওই ভূয়া চিকিৎসককে আইনের আওতায় আনা জরুরি। আমি বিস্তারিত তথ্য পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন