হোম অন্যান্যলাইফস্টাইল যাদের কাঠবাদাম খাওয়া ঠিক না?

যাদের কাঠবাদাম খাওয়া ঠিক না?

কর্তৃক
০ মন্তব্য 413 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

আদর্শ খাবারের মধ্যে কাঠবাদামের নাম থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে এর বদনামও রয়েছে।

স্বাদ ও স্বাস্থ্যগুণের কারণে ‘আমন্ড’ বা কাঠবাদাম সমাদৃত। এতে থাকে প্রোটিন, ভোজ্য আঁশ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামন ই। যার মিশ্রণে এই স্বাস্থ্যগুণের তালিকা নেহাত ছোট নয়।

ত্বক ভালো রাখা, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো, রক্তচাপ কমানো এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো এদের মধ্যে অন্যতম।

তবে সব স্বাস্থ্যকর খাবারের মতোই অতিরিক্ত খেলে কাঠবাদামেরও ক্ষতিকর প্রভাব আছে, বিশেষ করে ‘গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল’ বিভিন্ন সমস্যা।

আবার কিছু মানুষ আছেন যাদের কাঠবাদাম খাওয়া একেবারেই নিষেধ।

ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ ডা. প্রিয়াংকা রোতাগি’র পরামর্শ নিয়ে এমন একটি প্রতিবেদন উঠে আসে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে। তার আলোকেই জানানো হলো বিস্তারিত।

নির্দিষ্ট ওষুধ সেবনকারী

ডা. রোতাগি বলেন, “যারা ‘ল্যাক্স্যাটিভ’ কিংবা ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ সেবন করছেন কিংবা নিয়মিত রক্তচাপের ওষুধ খান তাদের উচিত কাঠবাদামকে খাদ্যাভ্যাসে যোগ করার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা। কারণ প্রাকৃতিকভাবেই এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ থাকে। মাত্র একমুঠ কাঠবাদামে মিলতে পারে প্রায় ০.৬ গ্রাম ম্যাঙ্গানিজ, যা শরীরের দৈনিক চাহিদার ২৭ শতাংশ। খাদ্যাভ্যাসের অন্যান্য খাবারেও এই খনিজের উপস্থিতি আছে। ফলে অতিরিক্ত ম্যাঙ্গানিজ শরীরের প্রবেশ করলে তা ‘ল্যাক্সাটিভ’, ‘অ্যান্টিবায়োটিক’, রক্তচাপের ওষুধের কার্যকারিতা কমাতে পারে। ডেকে আনতে পারে নতুন কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।

যাদের বাদামে অ্যালার্জি

যেকোনো ধরনের বাদামে যেকোনো ধরনের অ্যালার্জি থাকলেই কাঠবাদাম তার এড়িয়ে চলা উচিত। অ্যালার্জির কারণে শরীর চুলকানি ও ত্বকের বিভিন্ন অংশে চাকা হওয়া, ফুলে ওঠা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি যাদের হয় তাদের আরও বেশি সাবধান হতে হবে। এমন উপসর্গ একসঙ্গে দেখা দেওয়াকে বলা হয় ‘অ্যানাফিল্যাক্সিস’, যা প্রাণঘাতিও হতে পারে। আর এর কারণ হতে পারে কাঠবাদাম।

খাবার গিলতে যাদের সমস্যা

শিশুদের এবং কিছু বয়ষ্ক মানুষের খাবার গিলতে কষ্ট হয়। এদের কাঠবাদামসহ সবধরনের বাদামেই এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ ছোট্ট আর শক্ত এই খাবার গলায় আটকে গিয়ে দম বন্ধ করে দিতে পারে। আবার যাদের ‘ডিমেনশিয়া’, ‘পার্কিনসন’স ডিজিজ’ এবং চলাফেরায় প্রতিবন্ধকতা আছে তাদের দম আটকে যাওয়া ঝুঁকি বেশি থাকে।

যারা ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্ট নিচ্ছেন

২৮ গ্রাম কাঠবাদামে ভিটামিন ই’র মাত্রা হলো ৭.৪ মিলিগ্রাম। আর শরীরের দৈনিক ভিটামিন ই’র চাহিদা হল ১৫ মি.লি.গ্রাম। তাই যারা ভিটামিন ই ‘সাপ্লিমেন্ট’ খাচ্ছেন তারা আবার কাঠবাদাম খেলে সহজেই ভিটামিন ই ‘ওভারডোজ’ হতে পারে। এর ফলাফল হবে অবসাদ, দুর্বল দৃষ্টিশক্তি, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন