জাতীয় ডেস্ক:
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ।
এ অবস্থায় রোববার দুপুরে (২ জুন) বাবাকে নিয়ে আবেগঘন একটি পোস্ট দেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
ওই পোস্টে হত্যার বিচার নিশ্চিতের প্রত্যয় জানানোর পাশাপাশি তিনি লিখেন, ‘কেন তুমি চলে গেলে আব্বু, কেন চলে গেলে? আজ কালীগঞ্জের মানুষ আহাজারি করছে, রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোমার জন্য মানববন্ধন করছে। আমার এসব দেখেতো অনেক কষ্ট হচ্ছে আব্বু। আব্বু তোমার কি কষ্ট হচ্ছে?’
তিনি ওই পোস্টে আরও লিখেন, ‘তোমার হত্যার বিচার হবেই ইনশাআল্লাহ। এর জন্য যা করণীয় আমি সব করবো আব্বু। কিন্তু তুমি তো আর আমাকে বলবে না আমার আম্মুটা কই। জীবনে সব পাওয়া গেলেও তোমাকেতো ফিরে পাবো না আমি আব্বু।’
পুলিশের তথ্যানুযায়ী, আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহিন। ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিমের ভাই তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত শাহিন কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের ৫৬বিইউ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়ার কথা স্বীকার করলেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। অভিযোগ রয়েছে ওই ফ্ল্যাটেই হত্যা করা হয় আনারকে।
তবে অভিযুক্ত শাহিনের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নন। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তাই তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজিম।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে, গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।