হোম অন্যান্যশিক্ষা ইবির প্রথম বাস সংরক্ষণের দাবি শিক্ষার্থীদের

ইবির প্রথম বাস সংরক্ষণের দাবি শিক্ষার্থীদের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 82 ভিউজ

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রথম বাস (কুষ্টিয়া চ-০৮০০০১) দীর্ঘদিন আগেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাসটি নিলামে না উঠিয়ে ভাস্কর্য হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে উপাচার্য বরাবর গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে উপচার্যের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এ স্মারকলিপি গ্রহন করেন। এতে প্রায় সাড়ে তিনশতাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাস (কুষ্টিয়া চ-০৮০০০১) অনেকদিন আগে থেকেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা যতদূর জানি, বাসটি নিলামে বিক্রি করা হবে। কিন্তু আমরা মনে করি এই বাসটির সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। এ ধরণের ঐতিহ্য সংরক্ষণ আমরা বিভিন্ন স্থানে দেখতে পাই। তাই এই বাসটি যদি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে ভাস্কর্যের মত করে স্থাপন করা হয় তাহলে এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন স্থাপনা হিসেবে যুক্ত হবে। এবং প্রথম বাস হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে বাসটি।

এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাসটি সংরক্ষণ করা হলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে। তবে পুরাতন বাস নিলামে দেওয়া হলে রেফারেন্সে ইউজিসি থেকে নতুন বাস পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সংরক্ষণ করলে আমরা নতুন বাস পাবো না। এখন বিষয়টি প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিলে সংরক্ষণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনগুলোতে শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়ছে। এতে করে পরিবহন পুলে যুক্ত করতে নতুন বাস কেনা জরুরী হয়ে উঠেছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বাসগুলো অচল হয়ে যায় সেগুলো একটি প্রক্রিয়ার মাধমে সরকারের কাছে হস্তান্তর করলে নতুন আরেক বাস কেনার অনুমতি পাওয়া যায়। আমরা যদি এটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপনা হিসেবে রেখে দিই তাহলে এই বাসটির বিনিময়ে আমরা নতুন বাস পাবো না। সেক্ষেত্রে আমাদের পরিবহন পুলে একটি বাস কম থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বাসটিকে স্থাপনা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখতে চাইলে এটার জন্য জায়গা বরাদ্দ ও সংরক্ষন করারও একটি বিষয় থাকে। তবে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিটি হাতে পেয়েছি এটি শীঘ্রই উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে আলোচনা করে এ বিষয়ে তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন